ওয়ারী থেকে উদ্ধার : মারা গেল সেই নবজাতকটি

আগের সংবাদ

বিদ্রোহের ভারেই নৌকাডুবি

পরের সংবাদ

নন্দীগ্রাম : ভাগ্নেকে প্রার্থী করে নৌকা ঠেকাতে চান আওয়ামী লীগ নেতা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : নন্দীগ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক ঠেকাতে প্রয়োজনে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে নিজে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ। উপজেলার ৩নং ভাটরা ইউনিয়নে সম্প্রতি পৃথক কয়েকটি উঠান বৈঠকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল আশরাফ জিন্নাহর প্রকাশ্যে নৌকাবিরোধী এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
জানা যায়, ভাটরা ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য বর্তমান চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারীকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত করা হয়। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল্লাহেল বাকী বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। মোরশেদুল বারীকে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়ার পরেও বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল্লাহেল বাকীর পক্ষ নিয়ে মাঠে নেমেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ। আব্দুল্লাহেল বাকী সম্পর্কে রেজাউল আশরাফ জিন্নাহর ভাগ্নে। বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে জিন্নাহ বিভিন্ন স্থানে বক্তব্য দিচ্ছেন দলের বিরুদ্ধে। বিদ্রোহী প্রার্থী দিয়ে নৌকা প্রতীকের বিজয় ঠেকাতে ও দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। রেজাউল আশরাফ জিন্নাহর বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা। এছাড়া ভাটরা ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মজনুর রহমান মজনু।
গত ১৮ নভেম্বর ইউনিয়নের মাটিহাস মহাকুড়ি এলাকায় প্রকাশ্যে নৌকাবিরোধী বক্তব্য দিয়ে তিনি (জিন্নাহ) ভাইরাল হয়েছেন। ওই ভিডিওতে রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ বলেন, আমি বিশ্বাস করি উনি (মোরশেদুল বারী) নৌকা প্রতীক পাবেন না বা নৌকা প্রতীক জননেত্রী শেখ হাসিনা দেবেন না। তাই আমি আপনাদের বলতে চাই, যদিও দেন- আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে। প্রতিবাদস্বরূপ, বাকী (আব্দুল্লাহেল বাকী) ইউনিয়ন পরিষদে অবশ্যই থাকবে। আমি ওকেই বলেছি, তুমি (আব্দুল্লাহেল বাকী) যদি নির্বাচন না করো ভয়ে, প্রয়োজন হলে আমি উপজেলা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে ইউনিয়ন পরিষদে দাঁড়াব। বক্তব্য দেয়ার পর থেকে ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
নন্দীগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র আনিছুর রহমান বলেন, প্রকাশ্যে শেখ হাসিনা এবং নৌকার বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান বক্তব্য দিচ্ছেন, ফেসবুকে দেখে অবাক হয়েছি। এমন ধৃষ্টতার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোরশেদুল বারী বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ প্রকাশ্যে নৌকাবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এখনো তার ভাগ্নের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চ্যালেঞ্জ করে উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহর ভাইরাল হওয়া বক্তব্যটি রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগকে দ্রুত সাংগঠনিক নেয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ বলেন, আমার এই বক্তব্য তফসিল ঘোষণার আগের ছিল। নৌকার প্রার্থী মনোনয়ন জমার দিন বা পরে আমাকে বলেনি। প্রার্থী আমার বিরুদ্ধে বলতেই পারে। আওয়ামী লীগ যাকে মনোনয়ন দেবে আমি তার পক্ষেই কাজ করব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়