মাহমুদুর রহমান মান্না : খালেদা জিয়া এখন তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে যাচ্ছেন

আগের সংবাদ

ওমিক্রন ঠেকাতে চার সুপারিশ

পরের সংবাদ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় : ভর্তি নির্দেশিকায় মত উপেক্ষিত বিভাগীয় সভাপতিদের

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ইবি প্রতিনিধি : শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে প্রথমবারের মতো ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষার ফলাফলও প্রকাশিত হয়েছে। এখন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি নির্দেশিকা অনুযায়ী ইউনিটভিত্তিক ভর্তি আবেদন করতে হবে। গত ২২ নভেম্বর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্তৃপক্ষ। ইউনিটভিত্তিক বিভাগ অনুযায়ী বিভাগীয় শর্তও আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে শর্ত নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির বিরুদ্ধে বিভাগীয় সভাপতিদের একাডেমিক সভার পরামর্শকে উপেক্ষা করার অভিযোগ তুলেছেন অনেক শিক্ষক। বিভাগীয় একাডেমিক সভার পরামর্শ অনুযায়ী দেয়া ভর্তির শর্ত না মেনে ভর্তি পরীক্ষা কমিটি গতানুগতিক শর্ত আরোপ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
বিভিন্ন অনুষদের কয়েকটি বিভাগের সভাপতি জানান, ভর্তি পরীক্ষা কমিটি বিষয়ভিত্তিক নম্বরের বদলে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর পাওয়া জিপিএ ন্যূনতম স্কোরকে মানদণ্ড হিসেবে দিয়েছেন। তবে যে স্কোর দেয়া হয়েছে তা সচরাচর শিক্ষার্থীরা পেয়ে থাকে। এতে বিভাগের মান ও অবস্থান অনুযায়ী যোগ্য শিক্ষার্থী পাওয়ার বিষয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এছাড়া গুচ্ছভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে ইউনিটভিত্তিক মেধা তালিকা ও ন্যূনতম স্কোর নিরূপণ না করায় ভর্তি করার ক্ষেত্রে বেগ পেতে হতে পারে বিভাগগুলোকে। ইউনিট পরিবর্তন করে ভর্তির ক্ষেত্রে বিষয়টি আরো জটিল আকার ধারণ করবে। এতে শিক্ষার্থীদের গুনতে হবে অতিরিক্ত অর্থ। ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে শিক্ষকদেরও।
আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোশতাক মুনাওয়ার আলী বলেন, আমরা বিভাগ মিটিং করে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের যে কোনো একটিতে আরবি বিষয় থাকার শর্ত প্রস্তাব করেছিলাম। আমাদের প্রস্তাবিত কোনো শর্তই রাখা হয়নি। প্রশাসন নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্দেশিকা প্রকাশের আগে মিটিং করে আবারো জানিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করে আমাদের মৌখিকভাবে আশ্বাস দিয়েছে।
আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারুল ওহাব বলেন, বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভর্তি ক্ষেত্রে মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাসের শর্ত প্রস্তাব করেছিলাম। কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি যে প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে এতে আমাদের কিছু বলার ছিল না। ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য ও নির্দেশিকা প্রকাশ কমিটির আহ্বায়ক এবং বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, যদি পরীক্ষার আগে বিভাগ বা ইউনিটে ভর্তির শর্তের কথা উল্লেখ না থাকে তাহলে পরীক্ষার পরে এবং পরীক্ষার বিষয়ের ওপর শর্ত দেয়া আইন সিদ্ধ নয়। সভায় সিদ্ধান্তের পর সভাপতিরা নোট অব ডিসেন্ট দিতে পারতেন। নতুন পদ্ধতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আগে থেকে কোনো শর্ত দিতে পারেনি। টোটাল সিস্টেমটার ভেতরে যোগাযোগের একটা ঘাটতি ছিল তাই আমরা অনেক ক্ষেত্রে অনিশ্চিত ছিলাম। তাছাড়া আমাদের শর্ত অনুযায়ী ভালো শিক্ষার্থীরাই ভর্তি হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম বলেন, অন্যান্য বছর বাংলা, ইংরেজি আবশ্যিক থাকে। এবার তা ছিল না। ইউনিটভিত্তিক বিষয় অনুযায়ী পরীক্ষা হয়েছে। সবাই তো আরবি পারে না। তবে আমরা চেষ্টা করি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকে সর্বজনীন করা। সেটা করতে গিয়ে যা হওয়ার তাই হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়