নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র প্রথমে প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিনকে দেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে তার পরিবর্তে মনোনয়নটি কামাল খান নামের এক ব্যবসায়ীকে দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দলীয় নেতাকর্মী এবং এলাকাবাসী। গতকাল শুক্রবার উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নিমতলী বাজারে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন- ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক সাহাব উদ্দিন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, স্থানীয় এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি আবুল কাশেম দুলাল, জেবল হক, নুরেজ্জামান, আবুল কালাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. কামাল উদ্দিন বলেন, আমি নৌকা পেয়েছি। আমার প্রতি আওয়ামী লীগের সমর্থন ছিল। বিজ্ঞপ্তিতে আমার নাম এসেছে। টাকার কাছে কামাল উদ্দিনের নৌকা বিক্রি হয়েছে কামাল খানের কাছে। শুনেছি ৮০ লাখ টাকায় আমার নৌকা বিক্রি হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। যদি দল আমাকে সমর্থন না করে তাহলে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু আমাকে মনোনয়ন দেয়ার পর কীভাবে সেটা পরিবর্তন হয় তা আমি জানি না। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানাই- উনি যেন সঠিক তদন্ত করে এর আসল রহস্য বের করেন।
এ সময় অন্যরা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন বোর্ড গত ২৩ নভেম্বর ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিনকে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে নাম প্রকাশ করে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কামাল উদ্দিনের নাম পরিবর্তন করে দলীয় মনোনয়নের চিঠিতে ব্যবসায়ী কামাল খানের নাম আসে।
বক্তারা বলেন, চিঠিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নাম এবং সিলে একাধিক ভুল রয়েছে। এতে স্পষ্ট বোঝা যায়, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কামাল উদ্দিনের পরিবর্তে কামাল খানকে নৌকা প্রতীক দেয়া হয়েছে।
মানববন্ধন থেকে কামাল খানকে বাদ দিয়ে নৌকার প্রকৃত মাঝি কামাল উদ্দিনকে নৌকা প্রতীক দেয়ার দাবি জানানো হয় দলের সভানেত্রী ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে সহস্রাধিক আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।