নরসিংদীতে আটক নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান

আগের সংবাদ

‘তোরে আমি কি জন্য একা যাইতে দিলাম’

পরের সংবাদ

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য : দীর্ঘদিন বেতন হচ্ছে না আমতলী এফএস স্কুলে

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা আমতলী এফএস উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী কামরুল হাসান সাত বছর ধরে কোনো বেতন পাচ্ছেন না। তার অভিযোগ, আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই প্রধান শিক্ষক বকেয়া বেতনের টাকা পরিশোধ করছেন না। একই ধরনের অভিযোগ করেছেন স্কুলের আরো দুজন সহকারী শিক্ষক। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শেষে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বকেয়া বেতন পরিশোধের নির্দেশ দিলেও প্রধান শিক্ষক তা পালন করেননি। এ অবস্থায় ভুক্তভোগীরা চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন।
জানা গেছে, এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক পর্যায়ের এ বেসরকারি স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭২ সালে। বর্তমানে প্রায় নয় শত শিক্ষার্থী রয়েছে। ১৬ জন শিক্ষকসহ রয়েছেন তিনজন কর্মচারী।
এদের মধ্যে নৈশপ্রহরী কামরুল হাসান বেতন, ভাতাসহ গত মাস পর্যন্ত পাওনা রয়েছেন দুই লাখ টাকার বেশি। সহকারী শিক্ষক আলী প্রায় ২৬ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। গত মাস পর্যন্ত তার পাওনা হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। অপর সহকারী শিক্ষক কাজী সানোয়ার হোসেনকেও ২০১৯ সালের আগস্ট মাস থেকে স্কুল অংশের বেতনসহ অন্যান্য পাওনাদি পরিশোধ করা হয়নি।
এ ব্যাপারে তারা জানান, মৌখিকভাবে অনুরোধ করার পরও প্রধান শিক্ষক কোনো ব্যবস্থা নেননি। বাধ্য হয়ে তারা পৃথকভাবে গত বছরের মার্চ মাসে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। দৌলতপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে অভিযোগের তদন্ত করান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বছরের ২৩ মার্চ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা জাহান বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমানকে নির্দেশ দেন। কিন্তু প্রায় আট মাস পার হলেও সেই নির্দেশ অমান্য করে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়নি। নৈশপ্রহরী কামরুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই প্রধান শিক্ষক বকেয়া বেতন দিচ্ছেন না।
সহকারী শিক্ষক জনাব আলী বলেন, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তার অপারেশন করাতে হয়েছে। বিপুল অংকের টাকা খরচ হচ্ছে। বেতন না পেয়ে চিকিৎসা খরচ চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
অপর সহকারী শিক্ষক বলেন, আমতলী একতা সংঘ নামে একটি ক্লাবের সভাপতি প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান। তিনি ক্লাবের জন্য এক হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছিলেন। না দেয়াতে ক্ষিপ্ত হয়ে বেতন বন্ধ করে দিয়েছেন। একই অভিযোগ করেন আরো দুইজন।
দৌলতপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইবদাদুর রহমান তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, স্কুল অংশের পাওনা পরিশোধের জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে, এখনো কেন পরিশোধ করা হয়নি সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান স্কুল অংশের বেতন বকেয়া থাকার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বেতন বকেয়া থাকায় শিক্ষকদের বেতন দেয়া সম্ভব হয়নি। এক প্রশ্নের উত্তরে কোনো কোনো শিক্ষককে বেতন দেয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেন।
তবে অভিযোগকারী শিক্ষক, কর্মচারীরা আত্মসাতের যে অভিযোগ করেছেন তা তিনি অস্বীকার করে বলেন, সব মিথ্যা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়