গুলশানের ইউনিমার্ট ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

আগের সংবাদ

ধাক্কা কাটিয়ে চাঙ্গা অর্থনীতি

পরের সংবাদ

অবসর নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানালেন ইমরান

প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ২২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম শ্রেণির সব ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন তুষার ইমরান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেও বাংলাদেশের এ দলের হয়ে খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি। এদিন জাতীয় লিগের দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে খেলেছে তুষারের খুলনা বিভাগ। দুই দলের খেলার বিরতির সময় সংবর্ধনা দেয়া হয় তাকে।
ইমরানকে বিদায় দিতে বিকেএসপিতে চলা চার দলের ক্রিকেটার, জাতীয় দলের নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক, বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদিন ফাহিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ক্রিকেটাররা দুই সারিতে দাঁড়িয়ে হাত উঁচু করে গার্ড অব অনার দেন তুষারকে । এরপর ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) পক্ষ থেকে ক্রেস্ট উপহার দেয়া হয় তাকে।
বিদায়ের পর সংবাদমাধ্যমকে তুষার জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কাজ করতে চান তিনি। বিসিবি থেকে প্রস্তাব পেলে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিদায় দিতে প্রস্তুত তুষার। কোচিংয়ে নিজের পরবর্তী ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছে আছে তার।
তিনি আরো বলেন, আজ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে বিদায় বললাম। তবে লিস্ট-এ ক্রিকেট চালিয়ে যাব। ইচ্ছে আছে বিসিবির সঙ্গে কাজ করার। এখনো কোনো প্রস্তাব পাইনি। বিসিবি যদি মনে করে আমি যোগ্য, যেহেতু আমার লম্বা ক্রিকেট ক্যারিয়ার, আমি প্রস্তুত আছি। ইচ্ছে আছে কোচিং পেশাতেও যাওয়ার। জাতীয় দলের ব্যাটিং পরামর্শকের দায়িত্ব পেলে কাজ করতে চাই।
২০০১-এ ওয়ানডে ও ২০০২-এ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টর মাধ্যমে জাতীয় দলে অভিষেক তুষারের। সর্বশেষ ২০০৭ সালে জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত ভালো পারফর্ম করছেন তুষার ইমরান। কিন্তু ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে এসেও জাতীয় দলে ফেরা হয়নি তার।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তুষার পাঁচ টেস্টে সংগ্রহ করেছিলেন মাত্র ৮৯ রান। এছাড়াও ৪১ ওয়ানডেতে করেছেন মোট ৫৭৪ রান। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ডও আছে তার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৮২ ম্যাচে ১১ হাজার ৯৭২ রান করেছেন তিনি। করেছেন ৩২ সেঞ্চুরি ও ৬৩ হাফসেঞ্চুরি। এছাড়া লিস্ট এ ক্রিকেটে এক সেঞ্চুরি ও ৩০ হাফসেঞ্চুরিতে তার সংগ্রহ ৪ হাজার ৪৩৯ রান। বর্তমানে ইনজুরিতে আছেন জাতীয় ক্রিকেট লিগে খুলনা বিভাগের হয়ে খেলা তুষার। সে কারণে খেলা হয়নি পঞ্চম রাউন্ডে। আজ শেষ রাউন্ডেও একই কারণে নেই। সেক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার ১২ হাজার রান পূর্ণ হচ্ছে না। ১১ হাজার ৯৭২ রান নিয়েই বিদায় বলতে হচ্ছে তাকে। দেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে তারই শুধু রয়েছে ১০ হাজারের বেশি রান ও ৩২টি সেঞ্চুরি।
কিন্তু ১২ হাজার রানের কাছে ছিলেন তুষার। দরকার ছিল মাত্র ২৮ রান। এ রানে ১২ হাজারের মাইলফলক পূর্ণ করতে পারতেন তিনি। কেন এর আগেই এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইনজুরির কারণে আর খেলতে পারছি না। অনেক আগেই ঘোষণা দিয়েছিলাম ১২ হাজার রান হলে ক্রিকেট ছেড়ে দেব। এবং এটাও বলেছিলাম যদি রান করতে ব্যার্থ হই, তাহলে নিজে থেকেই সরে দাঁড়াব। প্রথম তিনটি ম্যাচে সুযোগ পাই, এতে ৫টি ইনিংস খেলেছি। ১২ হাজার থেকে তখন মাত্র ৭৮ রান বাকি ছিল। যত দিন ক্রিকেট খেলেছি, রান করেই খেলেছি। এখন ইনজুরিতে আছি, এজন্য আর হচ্ছে না। তিন ম্যাচে ৫টি ইনিংসে মাত্র ৭৮ রান করতে পারিনি, আমার মনে হয়েছে এখন সময় হয়ে এসেছে চলে যাওয়ার। এজন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সম্মানের সঙ্গে যেতে পেরে আমি খুশি।
তিনি আরো বলেন, ২০০০ সালে শুরু করেছি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট। ২০০১ সালের এ দলের হয়ে ভারত সফরে গিয়েছিলাম। পুনেতে মহারাষ্ট্রের হয়ে ম্যাচে আমাকে বলা হলো ওপেন করতে। মহারাষ্ট্রের বিপক্ষে ওই তিন দিনের ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলাম। ওই ইনিংসে ভালো পারফরম্যান্সের কারণে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ হয় আমার। এছাড়া দেশের ২৩ জাতীয় লিগের ২২টিই খেলেছি, সেটাও অনেক বড় অর্জন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়