কাগজ প্রতিবেদক : ঝালকাঠিতে তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরো ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩ ঘণ্টার ব্যবধানে এ পাঁচজন মারা যান। মৃতরা হলেন, রিপন শিকদার (৪০), মেহেদী হাসান (২৬), মোশারফ হোসেন রনি (২৭), শহীদ তালুকদার (৩৫) ও আশিক ইসলাম (৪০)। গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তাদের মৃত্যু হয়।
ইনস্টিটিউটের জরুরি আবাসিক সার্জন এসএম আইউব হোসেন বলেন, ঝালকাঠিতে জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাতজন দগ্ধ রোগী হাসপাতালে এসেছিল। তাদের মধ্যে ৫ জনকে ভর্তি রেখে দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। গতকাল তাদের ৫ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, ভোর ৫টার দিকে ৫৫ শতাংশ দগ্ধ থাকা মেহেদী হাসান মারা যান, সকাল সাড়ে ৯টায় ৫৪ শতাংশ দগ্ধ থাকা মোশারফ হোসেন, একই সময়ে ৫৪ শতাংশ দগ্ধ থাকা রিপন শিকদার, বিকাল সাড়ে ৪টায় ৭০ শতাংশ দগ্ধ থাকা শহিদ তালুকদার ও সন্ধ্যা ৬টার দিকে ৬৬ শতাংশ দগ্ধ থাকা আশিক ইসলাম মারা যান। এছাড়া ইমাম উদ্দিন (২১) ও রুবেল হোসেন (৩০) নামে দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ঘটনার দিনই বাড়িতে চলে গেছেন।
মৃতদের স্বজনরা জানায়, রনির বাড়ি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার দক্ষিণ মন্দিরা গ্রামে। তার বাবার নাম সিদ্দিক আহমেদ। জাহাজে কাজ করত সে। চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলব থানার বেটালিয়া গ্রামের আহমদউল্লাহর ছেলে মেহেদী। গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার মাইচকান্দি গ্রামের বাচ্চু তালুকদারের ছেলে শহিদ। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পাংখারচড় গ্রামের বাচ্চু শিকদারের ছেলে রিপন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অবস্থানকারী তেলবাহী জাহাজে পাম্প বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান একজন। আর দগ্ধ সাতজনকে উদ্ধার করে প্রথমে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে ওইদিন সন্ধ্যায় তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।