দেয়াল চাপায় শিশুর মৃত্যু : কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিস

আগের সংবাদ

বিজয়ী বিদ্রোহীদের ভাগ্যে কী আছে : সিদ্ধান্ত অমান্যকারীরা সাময়িক বহিষ্কার > ১৯ নভেম্বর আ.লীগের সভায় আসতে পারে নতুন সিদ্ধান্ত

পরের সংবাদ

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী : সন্তানদের বাস্তব জ্ঞান অর্জনে উৎসাহিত করুন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সন্তানদের একাডেমিক শিক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবভিত্তিক জ্ঞান অর্জনে উৎসাহিত করুন। জ্ঞানের চেয়ে বড় কোনো শক্তি নেই। সফল ব্যক্তি হতে হলে মেধার বিকাশ ঘটাতে হবে। শুধু একাডেমিক শিক্ষা নয়, এর পাশাপাশি সন্তানদের বিভিন্ন বিষয়ে বাস্তবভিত্তিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। গতকাল শনিবার রাজধানীতে অফিসার্স ক্লাব, ঢাকার সদস্যদের মেধাবী সন্তানদের সংবর্ধনা-২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
অফিসার্স ক্লাবের কল্যাণ ও সেবা উপকমিটির চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ক্লাবের ভাইস-চেয়ারম্যান কে এম মোজাম্মেল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মেসবাহ উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে এসএসসি, সমমান এবং এইচএসসি, সমমানের কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট, মেডেল ও বই উপহার দেয়া হয়।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, মানব সেবার চেয়ে বড় কোনো সেবা নেই। সেই প্রকৃত মানুষ, যে অন্যের দুঃখ অনুভব করতে পারে। শিক্ষার্থীদের মানবিক গুণাবলি অর্জন করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, যার যে প্রাপ্য সম্মান তাকে তা দিতে হবে। একজন রিকশাচালক, শ্রমিক অথবা কৃষকের সম্মান রয়েছে। কাউকে অবহেলা বা ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। একজন মানুষের জীবন তখনই সার্থক হয় যখন মানুষের জন্য কাজ করা যায়। জন্ম তখনই সার্থক হয় যখন অন্যের উপকারে নিজেকে উৎসর্গ করা যায়।
আজকের তরুণ-তরুণীরা উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সারথি উল্লেখ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পথ ও নকশা তৈরি করেছেন। সে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের শাসন-শোষণ এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অল্প সময়ের মধ্যে যে উন্নয়নের যাত্রা শুরু করেছিলেন স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তা থামিয়ে দিয়েছিল। দীর্ঘসময় পর বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে আবারো দেশ গঠনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই দেশ এখন বিশ্ব উন্নয়নের রোল মডেল। যে দেশে মানুষ না খেয়ে মারা যেত সেই দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন শেখ হাসিনা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়