দেয়াল চাপায় শিশুর মৃত্যু : কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিস

আগের সংবাদ

বিজয়ী বিদ্রোহীদের ভাগ্যে কী আছে : সিদ্ধান্ত অমান্যকারীরা সাময়িক বহিষ্কার > ১৯ নভেম্বর আ.লীগের সভায় আসতে পারে নতুন সিদ্ধান্ত

পরের সংবাদ

যাত্রী কল্যাণ সমিতি : বেশি বাস ভাড়া আদায়ের প্রমাণসহ মন্ত্রীকে চিঠি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাস ভাড়া বাড়ানোর পর সৃষ্ট নৈরাজ্যের খতিয়ান তুলে ধরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। ওই চিঠিতে তারা গ্রহণযোগ্য ভাড়া নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে বেশ কিছু প্রস্তাব রেখেছে। সমিতির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির চিঠিতে বলা হয়, ২০১৬ সালে জ্বালানি তেলের দাম প্রতি লিটারে ৩ টাকা কমানোর পর বাস ভাড়া কমানো হয় কিলোমিটারে ৩ পয়সা। ঠিক সেভাবে এবার তেলের দাম ১৫ টাকা বাড়ায় প্রতি কিলোমিটারে যাত্রীপ্রতি ভাড়া ১৫ পয়সা বাড়ানো যেত। কিন্তু তা না করে অধিক হারে ভাড়া বাড়ানোর কারণে গণপরিবহন ব্যবহারকারী নি¤œবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর যাত্রীস্বার্থ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অকটেন-পেট্রোলের দাম বাড়িয়ে সরকার ধনীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করেছে- যা অযৌক্তিক ও গণবিরোধী। গুলিস্তান থেকে উঠে একজন যাত্রী পল্টন বা প্রেস ক্লাব বা শাহবাগে নামলেও তার কাছ থেকে ফার্মগেটের ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। সাড়ে ৩ কিলোমিটার যাত্রাপথে আগে থেকে বাসগুলো ১০, ১৫ ও ২৫ টাকা ভাড়া নিত। কিন্তু এখন তারা নিচ্ছে ১৫, ২০ ও ৩৫ টাকা। ফার্মগেট থেকে উঠা যাত্রী খামারবাড়ী বা আগারগাঁও নামলেও তার কাছ থেকে মিরপুর-১০ নম্বর যাওয়ার ভাড়া নেয়া হচ্ছে। গুলিস্তান থেকে ৬ কিলোমিটার দূরের কাজলা পর্যন্ত আগে মিনিবাসে ১০ টাকা ও বড় বাসে ২০ টাকা ছিল। এখন মিনিবাসে ২০ টাকা এবং বড় বাসে ২৫ টাকা ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
চিঠিতে বলা হয়, গুলিস্তান থেকে মিরপুরের বাস-মিনিবাসে আগারগাঁও, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, মিরপুর-১০ নম্বর পর্যন্ত ২৫-৩০ টাকা ভাড়া ছিল। এখন ৩৫-৪০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। মিরপুর থেকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার পথে যেতে আগে মিনিবাসে ৩৫ টাকা এবং বড় বাসে ৩৭ টাকা লাগত। এখন ৫৫ টাকা নেয়া হচ্ছে। মালিকরা দৈনিক জমার ভিত্তিতে চালক-সহকারীদের হাতে বাস ছেড়ে দেয়। এই টাকা তুলতেই এখন বেশি ভাড়া আদায় করছে বলে যাত্রী কল্যাণ সমিতি মনে করে। চিঠিতে এসব ‘বেআইনি’ কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে।
সমিতি আরো বলেছে, দূরপাল্লার বাসের ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে পুরনো বাস এবং নতুন বাসে আলাদা আলাদা ভাড়া নির্ধারণ জরুরি। গত ১২ বছরে সড়ক-মহাসড়কের উন্নয়নে সড়কে গতি বেড়েছে। ট্রিপ বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে মালিকের আয় বেড়েছে। অনেক জাতীয় মহাসড়কে দূরত্ব কমেছে। কিন্তু ভাড়া নির্ধারণ ও তালিকা তৈরির সময় এসব বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়নি। বাস মালিকদের সংখ্যানুপাতে যাত্রী সংগঠন ও ক্যাবের প্রতিনিধি রেখে বাস ভাড়ার ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটি পুনর্গঠন করারও দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়