দেয়াল চাপায় শিশুর মৃত্যু : কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিস

আগের সংবাদ

বিজয়ী বিদ্রোহীদের ভাগ্যে কী আছে : সিদ্ধান্ত অমান্যকারীরা সাময়িক বহিষ্কার > ১৯ নভেম্বর আ.লীগের সভায় আসতে পারে নতুন সিদ্ধান্ত

পরের সংবাদ

উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল বাজার : ডিজেলের দাম বাড়ার প্রভাব পড়ছে, বেড়ে গেছে পণ্য পরিবহনের খরচ, আরো বাড়তে পারে দাম

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাজারে পণ্যের সরবরাহ পর্যাপ্ত। কোনো ধরনের ঘাটতি নেই। তবুও কমছে না পণ্যের দাম। আগের সপ্তাহে যে দাম বেড়েছিল- তা আর কমেনি; বরং কিছুটা বেড়েছে। তবে আগামী সপ্তাহে পণ্যের দাম আরো বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে তারা বলছেন, ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে পণ্য পরিবহনের খরচ বেড়ে গেছে। এতে আগের দামে পণ্য বিক্রি করা ব্যবসায়ীদের কাছে কঠিন হয়ে উঠবে। ইতোমধ্যে কিছু পণ্যের দাম বাড়তেও শুরু করেছে। শীতের মৌসুম চললেও বাজারে সবজির দাম তুলনামূলক অনেক বেশি। পেঁয়াজের পাশাপাশি সপ্তাহ ব্যবধানে ভোজ্যতেল, আলু, হলুদ, মরিচ, আদা ও ময়দার দামও কিছুটা বেড়েছে।
রাজধানীর কাওরানবাজার, নয়াবাজার ও রামপুরা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাতদিন আগে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৬০ টাকা, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। পাশাপাশি প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। এ ছাড়াও খুচরা পর্যায়ে ভোজ্যতেলসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে। প্রতি লিটার পামঅয়েল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৩২-১৩৮ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৬ টাকা, যা আগে ছিল ৪২-৪৫ টাকা। প্যাকেটজাত প্রতি কেজি ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৪৫-৫০ টাকা। আমদানি করা শুকনা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, যা সাত দিন আগে ছিল ২৮০ টাকা। আমদানি করা হলুদ প্রতি কেজি মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৯০ টাকা, যা আগে ছিল ১৫০-১৮০। প্রতি কেজি দেশি নতুন আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, যা সাত দিন আগে ছিল ১২০ টাকা। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৮-৩০ টাকা, যা আগে ছিল ২৫-২৬ টাকা।
ভোক্তারা বলছেন, বাজারে আবারো পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। কিছুদিন পরপর এ পণ্যটির দাম নিয়ে বিক্রেতারা কারসাজি করে। আবারো যাতে পণ্যটি নিয়ে কারসাজি না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্টদের নজর দিতে হবে। এমনিতেই অন্যান্য পণ্যের বাড়তি দাম নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ডিজেলের দাম বাড়াকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে কিছুটা সংকট থাকলেও এখন পর্যাপ্ত ট্রাক আসায় সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে। কিন্তু ডিজেলের দাম সমন্বয় করতে ট্রাক চালককে ভাড়া বেশি দিতে হচ্ছে। যেখানে প্রতি ট্রাক ভাড়া ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা গুনতে হতো, এখন গুনতে হচ্ছে ১৭০০-১৯০০ টাকা। পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের ওপর প্রভাব পড়েছে। বিক্রিও করতে হচ্ছে বাড়তি দরে।
পেঁয়াজ আমদানিকারকরা বলছেন, মূলত দেশি পেঁয়াজ শেষের দিকে। তারপরও ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আসায় সংকট নেই।
পাশাপাশি দেশে মাঠ থেকে নতুন পেঁয়াজ কিছুদিন পর বাজারে আসবে। সব মিলে পেঁয়াজ নিয়ে কোনো চিন্তার কারণ নেই। কিন্তু চিন্তা বাড়াচ্ছে পরিবহন খরচ। পরিবহন ভাড়া বাড়লে স্বাভাবিকভাবে পণ্যের দামের ওপর প্রভাব পড়ে। কারণ বন্দর থেকে প্রতি ট্রাক পণ্য ঢাকায় আনতে খরচ হতো প্রায় ৩০ হাজার টাকা, যা এখন ৩৮-৪০ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। প্রতি গাড়িতে ৮-১০ হাজার টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। তিনি বলেন, শুধু পেঁয়াজের দামে নয়, পরিবহন ভাড়া বাড়ায় সব ধরনের পণ্যের দাম এভাবে বেড়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়