দেশে ২ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮৪৬

আগের সংবাদ

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সেমিতে অস্ট্রেলিয়া

পরের সংবাদ

শাহজাদপুরে ক্ষিরার বাম্পার ফলন

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. আব্দুল কুদ্দুস, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে : এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় ও বীজ সার এবং কীটনাশক সুলভমূল্যে পাওয়ায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ক্ষিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। আগাম ফসল ফলায় দাম বেশি পেয়ে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। প্রতিবিঘা জমিতে ক্ষিরা চাষ করতে প্রায় ১২-১৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়। ১ বিঘা থেকে উৎপাদিত ক্ষিরা বিক্রি হয় ৫০-৬০ হাজার টাকা। এ আবাদে পোকা-মাকড়ের ঝামেলা কম, তাই ক্ষিরা চাষে কৃষকের আগ্রহ বেশি।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শাহজাদপুরের গাড়াদহ, পুরান টেপরী, বওশাগাড়ী, নবীপুর, কায়েমপুর, ব্রজবালা ও নরিনাসহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের উৎপাদিত ক্ষিরা বেচাকেনার জন্য উপজেলার গাড়াদহ আড়তটি প্রায় ২০ বছর আগে চালু হয়। এই এলাকার ক্ষিরা চাষিরা এই আড়তে বিক্রি করতে আসেন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় বেচাকেনা।
এ কাজে নিয়োজিত রয়েছে প্রায় ১৫-২০ শ্রমিক। কেনাবেচার মধ্যদিয়ে ১-২ ঘণ্টার মধ্যে ভরে যায় মহাজনদের আড়ত। আড়তে প্রচুর ক্ষিরা আমদানি হওয়ায় ওজনের পরিবর্তে বস্তা চুক্তিতে বিক্রি করা হয়। প্রকারভেদে প্রতি বস্তা ক্ষিরা বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত। এ আড়তটি অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়ে চলে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত।
উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের গাড়াদহ গ্রামের ক্ষিরা চাষি আশরাফ আলী জানান, প্রতি বিঘা জমিতে ক্ষিরার আবাদ করতে ১৫-২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। এবার বিঘা প্রতি ক্ষিরা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ হাজার টাকায়।

পাবনার বেড়া থেকে আসা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, শাহজাদপুর অঞ্চলের উৎপাদিত খিরার মান ভালো, দামও কম। খিরার মান ভালো হওয়ায় এর কদর সারাদেশে রয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় খিরা রপ্তানি হচ্ছে।
উপজেলার চর টেপরী গ্রামের আবু সামা ও মন্টু মিয়াসহ একাধিক কৃষক জানান, এলাকায় খিরা চাষের জন্য জমি লিজ পাওয়াই যায় না। কারণ খিরা চাষে কৃষক লাভ পাওয়ায় তারা খিরা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। আর যাদের নিজস্ব জমি আছে তারা আরো বেশি লাভবান হচ্ছেন।
শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আব্দুস ছালাম জানান, অল্প সময়ে স্বল্প বিনিয়োগে অধিক লাভ করা যায়। বাজারে দেশীয় উফশী ও হাইব্রিড দুই জাতের খিরা চাষ হয়েছে। উপজেলায় এ বছর প্রায় ১৪০ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে খিরার সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে গাড়াদহ ইউনিয়নে। খিরা চাষে কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। কৃষকরা বিঘা প্রতি খরচ বাদে ২৫-৩০ হাজার টাকা করে লাভ করছেন। এভাবে আগামীতে কৃষকরা খিরা চাষে আরো উদ্যোগী হবেন বলে তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়