গাজীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

আগের সংবাদ

বাজার অস্থির দিশাহারা মানুষ : নিত্যপণ্যের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় আরেক দফা বাড়বে

পরের সংবাদ

পূজামণ্ডপ ঘেরা কালো কাপড়ে : এবার কালী প্রতিমা ছাড়াই হলো প্রতিবাদী ঘটপূজা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : যে শ্যামাপূজা বা কালীপূজাতে পূজামণ্ডপ ও বাড়িতে প্রদীপ প্রজ¦ালন করে অন্ধকারের অপশক্তিকে দূর করার একটি নান্দনিক আলোকসজ্জা হতো বাংলার সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে তা আর এবার নেই। এবার মা কালীকে তারা পূজা করছে শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা বজায় রাখতে। এবার তার পরিবর্তে প্রতিবাদের চিহ্ন কালো পতাকা আর কালো ব্যানার ঝুলছে মন্দিরে-বাড়িতে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামও এর ব্যতিক্রম নয়। দীপাবলির কোনো উৎসবই হচ্ছে না এবার। অনেক ক্ষেত্রেই হচ্ছে ঘটপূজা। আর পূজামণ্ডপ সব কালো কাপড়ে ঢাকা।
সনাতনী ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, এবারের দুর্গাপূজায় চট্টগ্রামসহ সারাদেশে পূজামণ্ডপ, সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ঘরবাড়ি-মন্দির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগসহ হতাহতের ঘটনার প্রতিবাদে কালীপূজায় এ কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরের প্রধান পূজামণ্ডপ জেএম সেন হল। মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে এই মণ্ডপে এবার ঘটপূজার আয়োজন করা হয়। আর মণ্ডপের চারপাশ ছিল কালো পতাকায় ঘেরা। মণ্ডপের পাশে ‘সা¤প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াও’ স্লোগান লেখা ব্যানার ঝোলানো হয়। নগরের ১৬ থানা কমিটির অন্তর্ভুক্ত অধিকাংশ মণ্ডপেই ঘটপূজার আয়োজন করা হয়। মহানগর পূজা পরিষদের তথ্যমতে, নগরে এবার ২৭৬ মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসবের অধিকাংশ মণ্ডপেই গতকাল বৃহস্পতিবার অনাড়ম্বরভাবে অনুষ্ঠিত হয় শ্যামা কালীপূজা। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠিত কালীমন্দিরগুলোতে পূজার আয়োজন রয়েছে। শারদীয় দুর্গোৎসবে প্রতিমা ভাঙচুর, মঠ-মন্দিরে হামলা, হত্যা, অগ্নিসংযোগসহ সা¤প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে প্রতিটি পূজামণ্ডপেই উড়ানো হয় কালো পতাকা। ছিল নানা প্রতিবাদী কর্মসূচিও।
মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশীষ কুমার ভট্টাচার্য বলেন, সারাদেশে সা¤প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় পূজা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার অনাড়ম্বর পূজা হচ্ছে। এবার শুধুমাত্র পূজার আনুষ্ঠানিকতা হচ্ছে। দীপাবলি উৎসবও বর্জন করা হয়েছে। সব পূজামণ্ডপেই কালো পতাকা প্রদর্শিত হয়েছে। পূজা চলাকালে কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে মন্দিরে নীরবতা পালন করা হয়। তিনি আরো বলেন, আমাদের ১৬ থানা কমিটিকে একই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে যারা প্রতিমা পূজা করবেন তারা নিজেদের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে নগরের প্রধান পূজামন্ডপ জেএম সেন হলে কালো কাপড়ের ঘেরায় ঘটপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্পূর্ণ অনাড়ম্বরভাবে। নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়টি তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট থানাগুলোকে জানানো হয়েছে। আজ শুক্রবার বিসর্জন অনুষ্ঠিত হবে দুপুর সাড়ে ৩টার পর।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়