ডিএমপি কমিশনার : স্মার্টকার্ড লাইসেন্সের প্রাপ্তি স্বীকার রসিদ থাকলে মামলা নয়

আগের সংবাদ

ইইউ-চীন-যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের অঙ্গীকার > ৫০ বছরেই ‘কার্বন নিরপেক্ষ’ : এক হাজার কোটি ডলার তহবিলের নিশ্চয়তা, উষ্ণতা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখা

পরের সংবাদ

মাস্টারমাইন্ড মেয়ে জামাই আটক : টেকনাফে হাজি করিম খুনের রহস্য উন্মোচন

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: নভেম্বর ৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার প্রতিনিধি : টেকনাফে হাজি করিম উল্লাহ খুনের রহস্য অবশেষে উন্মোচন হতে চলেছে। হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড নিজ মেয়ের স্বামী মো. হোসেনকে এ ঘটনায় আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার তাকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে অন্যতম মাস্টার মাইন্ড মেয়ের জামাতার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। সে যেসব তথ্য দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুত সময়ে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত সন্ত্রাসীদেরও আটক করতে কাজ করছে পুলিশ। জানা যায়, টেকনাফ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত হাজি সাব্বির আহমেদের ছেলে হাজি করিম উল্লাহর মৃতদেহ গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের কচ্ছপিয়া ব্রিজের নিচ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে নিখোঁজ হন। এ সময় তার মোবাইল বন্ধ ছিল। পরের দিন সকালে অজ্ঞাত মৃতদেহ হিসেবে পুলিশ উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর মর্গে পাঠায়। ওইদিন সন্ধ্যায় পরিবার তার লাশ শনাক্ত করে।
এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর বিকালে নিহত হাজি করিম উল্লাহর জানানা শেষে টেকনাফ পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর স্ত্রী মুরশিদা বেগম বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে টেকনাফ

মডেল থানার ওসি হাফিজুর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসআই তারেক রহস্যময় এ মামলার তদন্ত কাজ শুরু করেছে।
স্থানীয়রা জানান, হাজি করিম উল্লাহ ওইদিন রাতে নাস্তাসহ আপন মেয়ের ঘরে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মাঠপাড়ায় দাওয়াতে অংশ নেন। সেখান থেকে ফেরার পথে খুনের শিকার হন। কিন্তু বিষয়টি প্রথম থেকেই ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করে হাজি করিম উল্লাহর স্ত্রী ও জামাতা। এ ঘটনা থেকে অনেকে সন্দেহ করেন যে, এ খুনের মাস্টার মাইন্ড স্ত্রী ও মেয়ের জামাতা। কিন্তু স্ত্রী মামলার বাদী হওয়ায় পুলিশ সতর্কতার সঙ্গে মামলার তদন্ত কাজ পরিচালনা করে। তথ্য প্রযুক্তি, মোবাইল ট্র্যাকিং ইত্যাদির মাধ্যমে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা হাজি করিম উল্লাহর খুনের মাস্টার মাইন্ড হিসেবে আপন মেয়ের স্বামী মো. হোসেনকে চিহ্নিত করে। পরে অবশ্য ওইদিন রাতে মেয়ের ঘরে দাওয়াতে অংশ নেয়ার কথা স্বীকার করে তারা। অবশেষে মামলার প্রায় দেড় মাসের মধ্যে তাকে আটক করে রহস্য উন্মোচন করতে পেরেছে পুলিশ।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, আটক আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য উন্মোচন করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়