‘ভীষণ এক্সাইটেড ও নার্ভাস’

আগের সংবাদ

নির্বাচন ঘিরে বারবার নির্যাতন : ইস্যু যাই হোক হামলার লক্ষ্যবস্তু ‘সংখ্যালঘু’, স্বার্থ উদ্ধারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ‘ধর্ম’

পরের সংবাদ

রামপুরায় দুর্বৃত্তের হামলায় পুলিশের সোর্স নিহত

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর রামপুরা বউবাজার এলাকায় দুর্বৃত্তের ধারাল অস্ত্রের আঘাতে আলমগীর হোসেন (৩২) নামে এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। শুক্রবার রাত সোয়া ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মারা যায় সে। নিহত আলমগীর পুলিশের সোর্সের কাজ করত বলে জানা গেছে। মৃত্যুর বিষয়টি গতকাল শনিবার নিশ্চিত করেন রামপুরা থানার এসআই মহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বউবাজার বরফগলিতে ঘটনাটি ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে আলমগীরের অবস্থার অবনতি হয়। আবারো ঢামেক জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এসআই আরো জানান, নিহত আলমগীরের দুই পায়ের হাঁটুর পিছনে ধারাল অস্ত্রের গভীর আঘাত ছিল। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। আহত আলমগীরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. নয়ন খান বলেন, আলমগীরের বাসা রামপুরা বউবাজার আদর্শ গলিতে। সেখানে স্ত্রী মিতু বেগম ও দুই ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকত।
রাজমিস্ত্রীর কাজ করত আলমগীর। সন্ধ্যায় বউবাজার বরফগলিতে এক যুবক আলমগীরের দুই পায়ের হাঁটুর পিছনে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে আলমগীরকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাই।
আলমগীরের স্ত্রী মিতু বেগম বলেন, তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ কোতয়ালির চড়শিকদার গ্রামে। আলমগীরের বাবার নাম আতশ আলী। বাসাবাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় জানতে পারেন কে বা কারা আলমগীরকে কুপিয়ে আহত করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আলমগীরের এক বন্ধু বলেন, আলমগীর রাজমিস্ত্রীর পাশাপাশি রামপুরা থানা পুলিশের সোর্সের কাজ করত। বেশ কিছুদিন আগে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী লিমন (২৮) নামের একজনকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। ইমন গত পরশুদিন জেল থেকে ছাড়া পায়। সেই জের ধরে আজকে ইমন একাই আলমগীরকে একা পেয়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত আলমগীর সোর্সের কাজ করত। জানতে পেরেছি লিমন নামে একজনকে ধরিয়ে দিয়েছিল। সেই জেল থেকে বের হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়