সম্প্রীতির জমিনে শকুনের চোখ

আগের সংবাদ

ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান এখন ‘মেটা’

পরের সংবাদ

সবাইকে রাজপথে নামার আহ্বান ড. কামালের

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বর্তমানে যে সরকার ক্ষমতায়, তারা কোনোভাবেই জনগণের আস্থাভাজন নয়, জনগণের রায়ে তারা দায়িত্ব পায়নি। কিন্তু তারা অবৈধ ক্ষমতা প্রয়োগ করে যাচ্ছে। দেশে ষোলোআনা স্বৈরতন্ত্র বিরাজ করছে। এ অবস্থায় দেশকে বাঁচাতে হলে জনগণের ঐক্যকে গুরুত্ব দিয়ে সব দলকে রাস্তায় নামতে হবে। তাহলেই রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণসংহতি আন্দোলনের চতুর্থ জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি। গণসংহতি আন্দোলনের এ সম্মেলনে সারাদেশে ৫০টিরও বেশি জেলার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এছাড়া হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সব শ্রেণি-পেশার মানুষ দেশে বর্তমান বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন উল্লেখ করে ড. কামাল হোসেন বলেন, মানুষ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত। ভোটাধিকার রক্ষার দাবিতে জেলায় জেলায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয় আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। এখন মাঠে নামলেই বিজয় আসবে। আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করে দেখিয়েছি, জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে কোনো শক্তিই বিজয় ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। ঐক্যবদ্ধভাবে এবারো আমরা রাস্তায় নামলে বিজয় আসবেই।
সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, নৌকা ডুবে গেছে। আলোর রেখা দেখা যাচ্ছে। তাই বলতে চাই, আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। রাজপথ দখল করতে হবে। আমরা সবাই যদি একসঙ্গে রাস্তায় নামি, তাহলে বিজয় আসবেই। আমরা যদি রাজপথ দখল করি, আগামী এক বছরের মধ্যে সরকার ক্ষমতা থেকে বিদায় হবে। আমাদের হাতে দুবছর সময় আছে, জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক বলেন, কাল মার্ক্সকে একবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, আপনার জীবনের সুখ কী? তিনি বলেছিলেন, আমার সুখ হচ্ছে লড়াই করা। আপনারা লড়াই করে গণসংহতি আন্দোলনকে দাঁড় করিয়েছেন। এ লড়াইটাকে আপনারা সুখ-আনন্দ হিসেবে পরিকল্পনা করেছেন। কী দুর্ভাগ্য যে আওয়ামী লীগ ভোটের জন্য লড়াই করেছিল, এখন সেই আওয়ামী লীগই রাজপথে একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সহ্য করতে পারে না। আমাদের সবাইকে ভোটের অধিকার রক্ষায় রাস্তায় নামতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা গণমানুষের রাজনৈতিক দল। গণমানুষের স্বার্থের বাইরে কোনো স্বার্থ নেই আমাদের। সব মজলুমের অধিকার আদায়ের জন্য আমরা লড়াই করি। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিনিময়ে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিবেন, এমন কোনো কথা ছিল না। দেশে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার জবরদস্তি আর কিছুই হতে পারে না। গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের নেতা ফিরোজ আহমেদ, তাসলিমা আক্তার, নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল ইসলাম, জুলহাস নাঈম বাবু, কেন্দ্রীয় বর্ধিত ফোরামের সদস্য সৈকত মল্লিক, আশরাফুল আলম সোহেল প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়