কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা, পাতিনেতাদের দৌরাত্ম্যে এখন আর কেউ থাকতে পারে না।
আওয়ামী লীগের এমপিরাই এখন কে চেয়ারম্যান হবে আর কে মেম্বার হবে, তা ঠিক করে দিচ্ছে। অন্য কেউ দাঁড়াতে পারবে না। আমরা চিন্তাই করতে পারি না। একাত্তর সালে আমরা যে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছিলাম, সেই গণতন্ত্রকে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিয়ে তারা এখন একটা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। এরা ভিন্নমত ও সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। সহনশীলতা বলতে তাদের কিছু নেই। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আওয়ামী লীগ যে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করছে, সেটার প্রতিবাদে আমাদের অফিসের সামনে একটা আলোচনা সভা করেছিলাম।
তারপর সভা শেষে আমাদের ছেলেরা যখন ফিরে যাচ্ছিল, তখন তাদের পেছন থেকে আক্রমণ করে, টিয়ার শেল মেরে, গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। আহত করা হয়েছে প্রায় পঞ্চাশের বেশি মানুষকে। উল্টো তারা আবার মামলা দিয়েছে ১ হাজার ৬০০ মানুষের বিরুদ্ধে। এত ভয় পায় কেন? ভয় পায় এই জন্য যে, তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। জনগণ যেদিন রাজপথে বের হবে, সেদিন আপনারা পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না।
পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনারা এ দেশের সন্তান, আপনারা মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবেন না। আপনারা দুর্নীতিপরায়ণ ও নির্যাতনকারী রাষ্ট্রের একটা দলের সঙ্গে মিশে জনগণকে এভাবে নির্যাতন করবেন না। সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। জনগণের পকেট কেটে আওয়ামী লীগ নিজেদের পকেট ভারী করছে।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা সংগঠিত হন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা যেন একটি দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে পারি। আমরা অবশ্যই নির্বাচন চাই, তবে সে নির্বাচন হতে হবে একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।