সম্প্রীতির জমিনে শকুনের চোখ

আগের সংবাদ

ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান এখন ‘মেটা’

পরের সংবাদ

এখন থেকে প্রথমেই আসবে ‘মেটা’ পরে ফেসবুক : জাকারবার্গের ঘোষণা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : প্রতিষ্ঠানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্যোগের মধ্যে নাম পরিবর্তনের ঘোষণা দিলেন ফেসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ। সব সেবা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ‘মেটা’ নামে পরিচিত হবে। তবে মূল সামাজিক মাধ্যমটির নাম ফেসবুকই থাকছে। নতুন এই নামটি প্রতিষ্ঠানটির নতুন উদ্যোগ ‘মেটাভার্সে’র দিকেই ইঙ্গিত করে। ভার্চুয়াল জগৎ এবং হার্ডওয়্যারের সমন্বয়ে নতুন ধারার এক কর্মক্ষেত্র তৈরির পেছনে পূর্ণ মনোযোগ দেয়ার ইঙ্গিত প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মার্ক জাকারবার্গ আগেই দিয়েছিলেন।
সিইও জাকারবার্গ কোম্পানির বার্ষিক হার্ডওয়্যার ইভেন্ট ‘কানেক্টে’ গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন। বার্ষিক এ আয়োজনে প্রতিষ্ঠানটি সাধারণত পোর্টাল ভিডিও ডিভাইস এবং অকুলাস হেডসেটের মতো পণ্য সম্পর্কেই কথা বলে। জাকারবার্গ বলেন, এখন থেকে, আমরা প্রথমে মেটাভার্স হতে যাচ্ছি। প্রথমে ফেসবুক নয়। ফেসবুক বিশ্বের সবচেয়ে ব্যবহৃত পণ্যের মধ্যে একটি। কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের ব্র্যান্ডটি একটি পণ্যের সঙ্গে এতটাই নিবিড়ভাবে জুড়ে আছে যে আমরা যা কিছু করছি তার সব কিছুকে এটি ধারণ করতে পারে না। ফেসবুকের সামাজিক মাধ্যম কেন্দ্রিক ব্যবসা যে বিবিধ সামাজিক ক্ষতির পেছনে মূল ভূমিকা রাখছে, নতুন নামকরণ সাম্প্রতিক সেই উন্মোচন থেকে মনোযোগ সরানোর বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুক এরই মধ্যে এমন আইনি প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে যার সন্তোষজনক জবাব ফেসবুকের পক্ষে দেয়া সম্ভবত কঠিন হবে। সম্প্রতি জনসমক্ষে এসেছেন ফেসবুকের তথ্য ফাঁসকারী একাধিক সাবেক কর্মী, ফাঁস করে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির বিপুল পরিমাণ অভ্যন্তরীণ নথিপত্র আর গবেষণা প্রতিবেদন। ফেসবুক কীভাবে বিভিন্ন দেশে সামাজিক মেরুকরণের পেছনে পরোক্ষ ভূমিকা রাখছে, সাধারণ ব্যবহারকারী কীভাবে ভুয়া আর মিথ্যাচারের জালে আটকা পড়ছেন এবং উগ্র রাজনৈতিক সমর্থকদের থামাতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যর্থতা কীভাবে ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হিল সহিংসতায় ভূমিকা রেখেছে- সে বিষয়গুলো উঠে এসেছে ওই সাবেককর্মীর ফাঁস করা নথিপত্রে।

জাকারবার্গ তার সহকর্মীদের আগেই জানিয়েছিলেন যে, ওয়াশিংটনসহ অন্যত্র সব প্রতিষ্ঠানিক মাথাব্যথার মোকাবিলাকারী একমাত্র আর হতে চান না; ফেসবুককে মেটাভার্স-এ রূপান্তর করতে চান তিনি। ১৭ বছর আগে একটি কলেজ ডর্মরুমে একটি সামাজিক নেটওয়ার্ক হিসেবে যাত্রা শুরু হয় ফেসবুকের। কিন্তু ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেসেঞ্জার সেবা মিলিয়ে প্রযুক্তি সেবার বাজারের একটা বড় অংশ এখন ফেসবুকের দখলে। সিলিকন ভ্যালির প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে নাম পাল্টাচ্ছে না ফেসবুক। ২০১৫ সালে মূল প্রতিষ্ঠানে নাম পাল্টে অ্যালফাবেট করেছিল ?গুগল। নিজেদের ক্যামেরা কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে স্ন্যাপচ্যাট নাম পাল্টে হয়েছে স্ন্যাপ ইনকরপোরেটেড।
তারও আগে বাজারে আইপড এবং আইফোন আনার পরপরই ২০০৭ সালে সে সময়ের অ্যাপল কম্পিউটার্স নাম পাল্টে অ্যাপল ইনকরপোরেটেড রেখেছিল। চলতি বছরেই জাকারবার্গ ঘোষণা দিয়েছিলেন, এক সময়ে প্রতিষ্ঠানটি মেটাভার্স নামে পরিচিত হবে। এরপর রে-ব্যানের সঙ্গে জোট বেঁধে স্মার্ট-গøাস উন্মোচন করে পেশাদারি কাজে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের জন্য ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি হেডসেটের পরিকল্পনার ঘোষণা দেন জাকারবার্গ। দীর্ঘদিনের পুরনো বন্ধু অ্যান্ড্রু বসওর্থকে পদোন্নতি দিয়ে প্রতিষ্ঠানের নতুন চিফ টেকনোলজি অফিসার বানিয়েছেন। পরবর্তী সময় ইউরোপের বাজারে মেটাভার্স সংশ্লিষ্ট পদে ১০ হাজার নতুন কর্মী নিয়োগ দেয়ার ঘোষণা দেয় ফেসবুক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়