দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন : বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত ৮১ জন চেয়ারম্যান

আগের সংবাদ

সম্প্রীতির জমিনে শকুনের চোখ

পরের সংবাদ

জাইকার অর্থায়নে পাইপলাইন নির্মাণ : ঝিনাইগাতীতে ৫শ একর জমি পাবে সেচ সুবিধা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি : ঝিনাইগাতী সীমান্তে জাইকার খুদ্র পানিসম্পদ ২ প্রকল্পের আওতায় মাটির নিচ দিয়ে পাইপলাইন নির্মাণকাজ শুরু করেছে এলজিইডি। উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের মহারশি নদীর সীমান্তে হলদীগ্রাম থেকে পাইপলাইনটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ৪ কিলোমিটার এ পাইপলাইন দিয়ে পানি সরবরাহ করা হবে নালিতাবাড়ী উপজেলার পুড়াগাঁও ইউনিয়নের সমশ্চূড়া, কোচপাড়া, জাঙ্গালপাড়া, দেওয়ানগঞ্জে পাড়া, ধুরারপাড়, মানিককুড়াসহ আরো কয়েকটি গ্রামে।
নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সেচ সুবিধার অভাবে যুগ যুগ ধরে এসব এলাকার পাহাড়ি জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে না। এসব পাহাড়ি এলাকার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর কয়েকশ ফুট নিচে। এছাড়া মাটির নিচে পাথর থাকার কারণে গভীর-অগভীর কোনো নলকূপ স্থাপন করা সম্ভব হয় না। ফলে ২০১০ সালে পুড়াগাঁও ইউনিয়নের সমশ্চূড়া গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ছোট্ট একটি খাল অঞ্জনা ঝুড়ায় একটি স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়। এর পানি সেচ কাজে ব্যবহার করে প্রায় ১০০ একর অনাবাদি পাহাড়ি জমি চাষাবাদের আওতায় আনা হয়। এটি পরিচালনার জন্য গঠন করা হয়েছে অঞ্জনা ঝুড়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি। এ সমিতিতে ৭০০ কৃষক রয়েছেন। এ সমিতির সভাপতি উমর ফারুক সাগর ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বলেন, ওই স্লুইস গেটের পানি সেচ কাজে ব্যবহার করে ১০০ একর অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আনা হলেও আরো প্রায় ৫০০ একর জমি সেচ সুবিধার অভাবে চাষাবাদের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। বছরের পর বছর অনাবাদি থাকছে জমিগুলো।
অপরদিকে ২০১৬ সালে ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের শালচূড়ায় মহারশি নদীতে প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি রাবার ড্যাম নির্মাণ করা হয়। জাইকার অর্থায়নে নির্মিত হয় ড্যামটি।
ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, এ রাবার ড্যামের পানি সেচ কাজে ব্যবহার করে উপজেলার নলকুড়া ও গৌরীপুর ইউনিয়নের প্রায় ২০টি এলাকায় ১ হাজার ২০০ একর অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আনা হয়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে এসেছে ব্যাপক উন্নয়ন ও পরিবর্তন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ রাবার ড্যামের অনেক পানি অপচয় হয়। আর পানির অপচয় রোধে জাইকার পক্ষ থেকে ২০১৬ সাল থেকে অপচয়কৃত পানি কাজে লাগিয়ে চাষাবাদ পদ্ধতি বারাতে বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে চালানো হয় জরিপ কাজ। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করা হয়। সাবেক কৃষিমন্ত্রী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরীর দিকনির্দেশনায় পাড়াগাঁও ইউনিয়নের যুগ যুগ ধরে অনাবাদি ওই ৫০০ একর পাহাড়ি জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে জাইকার খুদ্র পানিসম্পদ প্রকল্প ২-এর আওতায় ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে মাটির নিচ দিয়ে পাইপলাইন নির্মাণকাজ হাতে নেয়। ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে নির্মাণকাজ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির শেরপুরে নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পাইপলাইনটি নির্মিত হলে ওই এলাকার অনাবাদি ৫০০ একর পাহাড়ি অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আসবে। কৃষকরা পাবেন স্বল্পমূল্যে সেচ সুবিধা। কৃষি ক্ষেত্রে আসবে ব্যাপক উন্নয়ন ও পরিবর্তন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়