দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচন : বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত ৮১ জন চেয়ারম্যান

আগের সংবাদ

সম্প্রীতির জমিনে শকুনের চোখ

পরের সংবাদ

আশা বাঁচিয়ে রাখতে উইন্ডিজ বধে মরিয়া টাইগাররা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার আগে ভালো কিছু করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
তাছাড়া উইসডেন জানিয়েছিল এবারের বিশ্বকাপে ডার্কহর্সের তকমা পেয়েছিল টিম টাইগার। বলা হয়েছিল এবারের বিশ্বকাপে অন্তত সেমিতে হলেও খেলবেন তারা। কারণ বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার আগে মাহমুদউল্লাহরা নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় করেছিল। কিন্তু বিশ্বকাপে খেলতে গিয়ে যেন নিজেদের খেই হারিয়ে ফেলেছেন টাইগার ক্রিকেটাররা।
বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিততে জিততে হেরে যায়। দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো প্রকার প্রতিরোধই গড়তে পারেননি। আজ সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশ নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলতে নামবে। শারজাহ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বিকাল ৪টায় শুরু হবে ম্যাচটি। প্রথম ২টি ম্যাচে হারায় সেমির আশা অনেকটা ফিকে হয়ে গেছে। তবে শেষ হয়ে যায়নি। সেমির আশা টিকিয়ে রাখতে হলে আজ বাংলাদেশকে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে জয় তুলে নিতেই হবে। এরপর তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর ফলাফলের দিকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত মূলপর্বে মাত্র একটি জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সেটি ২০০৭ সালের প্রথম বিশ্বকাপে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ এরপর ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো টাইগাররা খেলে ২০১৪ সালে। সেবার বিশ্বকাপ হয়েছিল বাংলাদেশের মাটিতে। কিন্তু দ্বিতীয় দেখায় বাংলাদেশ আর কিছু করতে পারেনি।
বাংলাদেশ মূলপর্বে একটি জয়ের জন্য এখন মুখিয়ে আছে। শ্রীলঙ্কা ছিল এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সুযোগ। কিন্তু সেই সুযোগ টাইগাররা কাজে লাগাতে পারেনি। এখন মূলপর্বে জয় পেতে বাংলাদেশের আরেকটি বড় সুযোগ রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজও কোনো জয় পায়নি। তারা নিজেদের প্রথম ম্যাচে তো রীতিমতো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হয়। ওই ম্যাচে মাত্র ৫৫ রানে আউট হয়ে তারা বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বনি¤œ রানে হারার লজ্জার রেকর্ড গড়ে। এরপর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা খেলতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সে ম্যাচটিতেও নিজেদের চিরচেনা রূপ দেখাতে পারেনি তারা। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজও এখন চাইবে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে সেমির লড়াইয়ে টিকে থাকতে।
বিশ্বকাপে দুইবার বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলেছে। আর সব মিলিয়ে দুদল ১২ বার একে অপরের বিপক্ষে মুখোমুখি হয়েছে। এই ম্যাচগুলোর মধ্যে ৬টি ম্যাচে জয় পেয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। ৫টি ম্যাচে জয় পেয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বাকি একটি ম্যাচ পরিত্যাক্ত হয়ে যায়।

দুদলের পরিসংখ্যান ঘাটলে দেখা যাচ্ছে শক্তির বিচারে উভয়েই সমান। তাছাড়া বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সময়টাও ভালো যাচ্ছে না। এ বিষয়টি যদি তারা কাজে লাগাতে পারে তাহলে বাংলাদেশ সুপার টুয়েলভে প্রথম জয়ের স্বাদ পাবে।
এদিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর বাংলাদেশ দলের ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। প্রায় সব জায়গাতেই বাংলাদেশেল ব্যাটিংয়ের ধরন, ব্যাটারদের খামখেয়ালিপূর্ণ ব্যাটিং, ফিল্ডারদের ব্যর্থতা নিয়ে হচ্ছে আলোচনা। তবে এসব সমালোচনা সহ্য করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি-বিন মুর্তজা।
তিনি বলেছেন এই সমালোচনাও খেলারই অংশ। ইংলিশদের বিপক্ষে হারার পর ফেসবুকে মাশরাফি এ ব্যাপারে লেখেন, ‘সমালোচনা জীবনের একটা অংশ, এটা সহ্য করাও একটা আর্ট। যে যত সমালোচনা নিতে পারে সে তত ভালো থাকে। ঠিক এই মুহূর্তে তোমাদের সমালোচনা সবাই করবে এমনকি আমিও। তাতে তোমাদের কিছু যায়-আসার কথা নয়। শুধু তোমাদের চিন্তা করা উচিত তোমরা কী করতে চেয়েছিলে আর তা কেন করতে পারনি। পরের ম্যাচে যেন সেরাটা দিতে পার সেই চিন্তা করা শুরু কর। কারণ পরের ম্যাচটাও তোমরা বাংলাদেশের জন্যই খেলবে আর দেশের সবাই আবার নতুন কোনো আশা নিয়ে খেলা দেখতে বসবে।’
তাছাড়া মাশরাফি বলেন, দর্শকরা ক্রিকেটকে ও ক্রিকেটারদের ভালোবাসেন বলেই তাদের সমালোচনা করে থাকেন। এ ব্যাপারে মাশরাফির ভাষ্য, ‘কেউ গঠনমূলক সমালোচনা অথবা আরো বেশি নেতিবাচক কথা বলবে। তোমাদের ভালোবাসে বলেই এত কথা বলে। নেক্সট ম্যাচেই সেরাটা দিয়ে জিতে এলে দেখবা সবাই আনন্দে পিছনের জিনিস ভুলে যাবে। একমাত্র ইতিবাচক মানসিকতাই সেরাটা বের করে আনতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।’

‘মাঠে যা কিছুই ঘটুক না কেন তোমাদের পাশেই আছি। মনপ্রাণ দিয়েই থাকব। সবাই বিশ্বাস করে তোমরাই আনন্দের উপলক্ষ। বাজে দিনকে ভুলে যাওয়াই উত্তম। তবে বাজে দিন যে শিক্ষা দিয়ে যাবে তা মনে রাখা আরো উত্তম। গুড লাক বাংলাদেশ ক্রিকেট। আল্লাহ ভরসা।’
মাশরাফির কথায় যথেষ্ট যুক্তি আছে। বাংলাদেশ যখন ভালো খেলে তখন সবাই তাদের প্রশংসায় ভাসান। খারাপ খেললেই সমালোচনা করেন। এখন টাইগারদের এ সমালোচনার জবাব দেয়ার একমাত্র উপায় হলো একটি। এক্ষেত্রে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিপক্ষেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সুযোগ। আর এ সুযোগ তারা কাজে লাগাতে পারেন কিনা তা আজকে ম্যাচেই দেখা যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়