পাসপোর্ট জটিলতায় আটকে আছেন অর্ধলাখ প্রবাসী

আগের সংবাদ

পোশাক খাতে ক্রয়াদেশ বাড়ছে

পরের সংবাদ

রৌমারীর চর শৌলমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় : রাতের আঁধারে সরকারি বই বিক্রি করলেন প্রধান শিক্ষক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : বিভিন্ন সালের সরকারি পাঠ্যবই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে রৌমারী উপজেলার চর শৌলমারী বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গত বুধবার রাতের আঁধারে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বইগুলো বিক্রি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ অক্টোবর রাতের আঁধারে চর শৌলমারী বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তার প্রতিষ্ঠানে গচ্ছিত রাখা মাধ্যমিক স্তরের ২০১৩ থেকে ২০২০ সালের সরকারি বই ও পরীক্ষার খাতা ম্যানেজিং কমিটিকে না জানিয়ে এবং রেজুলেশন ছাড়াই চর শৌলমারী বাজারের এক ব্যবসায়ীর কাছে ১৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
বিদ্যালয়টি ১৯৯৪ সালে স্থাপিত হয়। বর্তমানে ৬ষ্ট শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ শত জন শিক্ষার্থী রয়েছে বিদ্যালয়টিতে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, প্রধান শিক্ষকের অবৈধভাবে বই বিক্রির ঘটনা এর আগেও ছিল। আমরা শুনেছি এবারও প্রায় ১৬০০ কেজি সরকারি বই বিক্রির ঘটনা ঘটিয়েছে এবং শুরু থেকে প্রতিষ্ঠানে নানা অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। বই ক্রয়কারী আবুল কাশেম সিকদার বলেন, আমি বই, খাতাসহ এলাকায় বিভিন্ন ভাঙাড়ি মালামাল ক্রয় করে থাকি। গত বুধবার চর শৌলমারী বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাকে ডেকে নিয়ে তার স্কুলের বই আমার কাছে বিক্রয় করে দেন। তা আমি কিনে নিয়েছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, দায়িত্বশীল পদে থেকে কীভাবে একজন প্রধান শিক্ষক বিনামূল্যের সরকারি বই বিক্রি করে দেন এটা আমাদের বোদগম্য নয়।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমিন ব্যাপারিকে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নি। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের টয়লেট কক্ষে বইগুলো রাখা হয়েছিল। টয়লেট ব্যবহারের লক্ষ্যে বইগুলো রাখার অন্য কোনো স্থান না থাকায় উপজেলা মাধ্যমিক স্যারকে বলে বইগুলো বিক্রি করে দিয়েছি। বিক্রীত অর্থ দিয়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা আইবুল ইসলাম বলেন, সরকারি বই বিক্রির কথা শুনেছি। তবে সরকারি অনুমতি ছাড়া বই বিক্রি করলে তা সম্পূর্ণ অবৈধ।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার মোক্তার হোসেনকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়