পাসপোর্ট জটিলতায় আটকে আছেন অর্ধলাখ প্রবাসী

আগের সংবাদ

পোশাক খাতে ক্রয়াদেশ বাড়ছে

পরের সংবাদ

খরচ কমেছে কিশোরগঞ্জের কৃষকের : নিম-মেহগনির তেলে তৈরি কীটনাশকে মিলছে সুফল

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কামরুল আহসান কল্লোল, নীলফামারী থেকে : কিশোরগঞ্জ উপজেলায় কৃষি জমিতে পোকা ও ইঁদুর দমনে কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে নিম ও মেহগনির বীজের নির্যাস দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে জৈব বালাইনাশক। এটি ব্যবহার করে ধানের মাজরা, পাতা মোড়ানো পোকা দমন করছেন স্থানীয় কৃষকরা। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তৈরি এই কীটনাশক ব্যবহার করে সুফলও পাচ্ছেন তারা। এতে খেতের পোকা ও ইঁদুর দমনে একদিকে যেমন খরচ কমছে, অন্যদিকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকরা।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায় যে, স্থানীয় কয়েকজন নারী-পুরুষ বাড়ির আঙিনায় বসে নিম বীজ, পাতা ও মেহগনির ফল থেকে বিচি সংগ্রহ করে তা গুঁড়া করছেন। সেই গুঁড়া প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে বিশেষ তেল প্রস্তুত করছেন তারা। এরপর সেই তেল স্প্রে মেশিনে পানির সঙ্গে মিশিয়ে ধান খেতে কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে ছিটিয়ে দিচ্ছেন।
প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে এমন কীটনাশক তৈরিতে কৃষকদের সহযোগিতা করছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ তুষার কান্তি রায়। তিনি বলেন, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে বেশ ঘাটতি রয়েছে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে জৈব কীটনাশক ছাড়া এর বিকল্প নেই। তিনি বলেন, সমগ্র উপজেলার কৃষকদের কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে এর ব্যবহার নিশ্চিত করার পরামর্শ প্রতিনিয়ত দেয়া হচ্ছে। পরামর্শ অনুযায়ী তারা কাজও করছেন। ফলে খেতের পোকা দমনে একদিকে যেমন খরচ কমেছে অন্যদিকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষক। পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করছেন কৃষকরা।
এ ব্যাপারে পুটিমারী ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের কৃষক আবদুল কাইয়ুম জানান, পোকামাকড়ের পাশাপাশি ইঁদুর ধানের ব্যাপক ক্ষতি করে। তাই এবার প্রথমবারের মতো জমিতে নিমের বীজ ও মেহগনির তেল ছিটানোর পর ইঁদুর আক্রমণ করতে পারেনি। তবে তিনি বলেন, জমিতে কীটনাশক ছিটানোর সময় অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। ছিটানোর সময় নাক-মুখ ঢাকতে হয়, নইলে স্বাস্থ্যের ক্ষতির সম্ভাবনা আছে বলে নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন, মেহগনির তেল ব্যবহারে স্বাস্থ্য ঝুঁকির সমস্যা হয় না। এছাড়া মেহগনির তেল ব্যবহারের কারণে উৎপাদন খরচও কমে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাবিবুর রহমান বলেন, ফসলে কীভাবে কীটনাশকের বিকল্প ওষুধ ব্যবহার করা যায় সেজন্য আমাদের কৃষি দপ্তর বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করছে। সেক্ষেত্রে এ ধরনের জৈব পদ্ধতি নিঃসন্দেহে নিরাপদ বলে নিশ্চিত করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়