ইজিবাইকচালককে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬ : মাদকের টাকা জোগাতে ছিনতাই

আগের সংবাদ

ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে ডিজিটাল ছোঁয়া

পরের সংবাদ

নীলিমা বহুমুখী সমবায় সমিতি : গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি : কেরানীগঞ্জে গ্রাহকদের জমানো কয়েক কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে নীলিমা বহুমুখী সমবায় সমিতির মালিক মোমিন। গতকাল সোমবার সকালে শত শত গ্রাহক বন্ধ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগে কদমতলী খালপাড় এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা প্রয়াত নুরু মিয়ার ছেলে মো. মোমিন তার তৃতীয়তলা বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষে নীলিমা বহুমুখী সমবায় সমিতি নামে প্রতিষ্ঠান খুলে মাসিক ৬০০ টাকা করে সঞ্চয় করলে ২ বছর শেষে অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে হাজার হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা সংগ্রহ করেন। সেই টাকা আত্মসাৎ করে রবিবার রাতে কার্যালয়ে তালা দিয়ে পালিয়েছে প্রতারক মোমিন। মেয়াদ শেষ হওয়ায় গতকাল সকালে অনেক গ্রাহক পাওনা টাকা নিতে এসে কার্যালয় বন্ধ দেখতে পান। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে শত শত নারী গ্রাহক এসে ভিড় করেন বন্ধ কার্যালয়ের সামনে। একপর্যায়ে তারা বিক্ষোভ করতে থাকেন।
রহিমা নামে এক গ্রাহক বলেন, আমি, মেয়ে, ছেলে, ছেলের বউ, মেয়ে জামাই, নাতিসহ পরিবারের ২৮ জন সদস্য টাকা জমিয়েছি। এর মধ্যে পাঁচজনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গতকাল তাদের টাকা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকালে এসে দেখি কার্যালয়ে তালা ঝুলছে। আমাদের পরিবারের প্রায় ১০ লাখ টাকা জমা ছিল।
সালেহা বেগম নামে এক নারী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে এখানে টাকা জমিয়েছি। প্রায় ১ লাখ টাকা আমার পাওনা। আজকে টাকা দেয়ার কথা ছিল। এসে দেখি তালাবন্ধ। পরে জানতে পারি রবিবার রাতে প্রতিষ্ঠানের মালিক আমাদের টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।
শিলা ইসলাম নামে এক গ্রাহক বলেন, আমার তিন লাখ টাকার একটা এফডিআর ছিল, আজকে আমানত ও মুনাফার টাকা দেয়ার কথা ছিল। সকালে জানতে পারি তারা পালিয়েছে। আমার মতো তাদের এমন অনেক গ্রাহক আছে। এছাড়া এলাকার স্থানীয় অনেক গরিব পরিবারের সঞ্চয়ের টাকাও আছে তাদের কাছে। আমি দ্রুত এই প্রতারক চক্রের সদস্যদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এ বিষয়ে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা রুহুল আমিনের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তবে উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. রফিক বলেন, প্রতিষ্ঠানটি উপজেলা সমবায় অফিস থেকে রেজিস্ট্রেশন

নিয়েছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভুক্তভোগী গ্রাহকরা অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, এসব ক্ষেত্রে জনগণকে আরো সচেতন হতে হবে। কোথায় টাকা রাখছি, তার ব্যাকগ্রাউন্ড কি, অনুমোদন আছে কিনা? এগুলোা যাচাই করে টাকা জমা রাখা উচিত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়