ইজিবাইকচালককে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬ : মাদকের টাকা জোগাতে ছিনতাই

আগের সংবাদ

ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে ডিজিটাল ছোঁয়া

পরের সংবাদ

জাতীয় জাদুঘরের আয়োজন : শেখ রাসেল ফিরে আসবে শত কোটি শিশুর মাঝে

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘শেখ রাসেলের গল্প’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও প্রাবন্ধিক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. জেবউননেছা। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। সঞ্চালনা করেন জাদুঘরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।  
শেখ রাসেল হারিয়ে গেলেও ফিরে আসবে শত কোটি শিশুর মাঝে এমন মন্তব্য করে মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. জেবউননেছা বলেন, অত্যন্ত সহজ সরল এবং মিশুক প্রকৃতির ছিল শেখ রাসেল। রাসেলের ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে সামরিক কর্মকর্তা হবে। দুই বোন শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, সবকিছু নিয়ে আমার বাবা, মা ও ছোট্ট ভাই রাসেলকে ফিরিয়ে দিলে আমরা আর কিছু চাই না। আমরা সব দিয়ে দেব। ৪৬ বছর ধরে দুই বোন রাসেলের জন্য চোখের পানি ঝরিয়ে যাচ্ছেন। দিন আসে দিন যায়, রাসেল আসে না। হাসুপা বলে ডাকে না। চকচকে এক জোড়া চোখে শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে হয়তো হতে পারতো পথ নির্দেশক।
বিশেষ অতিথি মো. আবুল মনসুর বলেন, ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেলের জন্মদিনকে শেখ রাসেল দিবস পালন করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যক্তি রাসেলের গুণাবলি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মাঝে পৌঁছে দেয়া। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার চেতনা তার ভেতরে ছেলেবেলা থেকেই তৈরি হয়েছিল। অন্য শিশু থেকে ভিন্নতর বৈশিষ্ট্যের। বঙ্গবন্ধু, রাসেলের মধ্যে শিশু নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্য খেয়াল করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু নিজের প্রতিচ্ছবি শিশু রাসেলের ভেতরে দেখতে পেতেন। সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, মন্ত্রিপরিষদ প্রতি বছর ১৮ অক্টোবর ‘শেখ রাসেল দিবস’ ঘোষণা করেছে এবং ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্তকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এখন থেকে প্রতি বছর অন্যান্য জাতীয় দিবসের মতো এই দিবসটিও জাতীয় দিবস হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পালন করবে। তিনি বলেন, শেখ রাসেলের দায়িত্ব বোধ, চিন্তাচেতনার ধারা, সৌজন্য শিক্ষা পেয়েছে পরিবার থেকে। বঙ্গবন্ধু ও বেগম মুজিবের চারিত্রিক গুণাবলি ও উন্নত মানসিকতা শেখ রাসেলের মধ্যে ছিল। 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়