চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা : চালকের সহকারী শাহীরুল এখন কোটিপতি

আগের সংবাদ

তিস্তার তাণ্ডবে লালমনিরহাটে পথে বসেছে হাজারো পরিবার

পরের সংবাদ

কুমারখালীতে মন্দিরে অগ্নিসংযোগ : বিভিন্ন মন্দিরে গ্রাম পুলিশের পাহারা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হাবীব চৌহান, কুমারখালী (কুষ্টিয়া) থেকে : উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি সার্বজনীন পূজা মন্দিরে আগুন দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শনিবার গভীর রাতে জগন্নাথপুর ইউনিয়নের জোতপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে মন্দিরের বারান্দার গ্রিলের সঙ্গে লাগানো প্লাস্টিকের মোটা জাল পুড়ে গেছে। সেই সঙ্গে পুড়ে গেছে পর্দার কিছু অংশও।
রবিবার সকালে মন্দিরে আগুন লাগানোর খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মণ্ডল, থানার অফিসার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ খান।
সরজমিন জোতপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দিরের গিয়ে দেখা গেছে, মন্দিরের বারান্দা লোহার গ্রিলে ঘেরা। তার সঙ্গে লাগানো প্লাস্টিকের মোটা জাল। দুর্বৃত্তরা মন্দিরের প্রবেশ মুখের সেই জালে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে পোড়া প্লাস্টিকের জালের গলিত অংশ মন্দিরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে। এছাড়া মন্দিরের পর্দার কিছু অংশ পুড়ে গেছে।
এ বিষয়ে জোতপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দিরের পুরোহিত অশিক ঘোষ বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় পূজার জন্য মন্দিরে এসেছিলাম। ৭টার দিকে তালা লাগিয়ে চলে গিয়েছিলাম। কোনো আগুন বা মোমবাতি জ¦ালানো ছিল না। গতকাল রবিবার সকালে এসে দেখি প্রবেশ মুখের তালা উল্টো করে রাখা হয়েছে। জাল ও পর্দা আগুন দিয়ে পোড়ানো। তিনি আরো বলেন, মন্দিরের তালা ভাঙার চেষ্টাও করা হয়েছে।
মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি তপন কুমার ঘোষ বলেন, দেশে চলমান পরিস্থিতির জের ধরে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা মন্দিরে আগুন লাগিয়েছে। তিনি এ ঘটনার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ খান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিরাপত্তার জন্য প্লাস্টিকের জাল লাগানো জালে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে এবং তালা ভাঙারও চেষ্টা করেছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুমারখালী শাখার সভাপতি বাবু নব কুমার দত্ত বলেন, মন্দিরে আগুন লাগানোর খবর তাৎক্ষণিক প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থলে পূজা উদযাপন পরিষদ নেতাদের পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনায় জড়িত দুর্বৃত্তদের বিষয়ে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি নিরাপত্তার স্বার্থে সব মন্দিরে রাতে গ্রাম পুলিশের পাহারার ব্যবস্থা করতে চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়