টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সফল পাঁচ অধিনায়ক : তাইফ রহমান রাফি

আগের সংবাদ

সড়কে নেই ‘ডিজিটাল’ ছোঁয়া

পরের সংবাদ

পায়রা সেতুর উদ্বোধন আজ

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ও সর্ববৃহৎ পায়রা সেতু। আজ টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে এ সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুটি খুলে দেয়ায় ঢাকার সঙ্গে কুয়াকাটা এবং পায়রা সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে স্থাপিত হবে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ। এই পথে এখন আর কোনো ফেরি নেই।
জানা গেছে, সকাল ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুর উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের পরই যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চার লেনের সেতু। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেই পায়রা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশালী আবদুল হালিম। তিনি জানান, সেতু খুলে দেয়ার পর শরীয়তপুরের কাঁঠালবাড়ী থেকে কুয়াকাটার সঙ্গে প্রায় ২১৩ কিলোমিটার সড়কের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপিত হবে। স্থানীয়দের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং পায়রা সমুদ্র বন্দরের ব্যবহার বাড়বে। পটুয়াখালী-বরগুনা জেলাসহ উপকূলীয় ১০ উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে। সর্বোপরি ব্যাপক উন্নয়ন হবে দক্ষিণাঞ্চলের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার।
করোনাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে নির্ধারিত সময়ে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লংজিয়ান রোড এন্ড ব্রিজ কোম্পানি লিমিটেড সেতুর কাজ শেষ করতে পারেনি। তিন দফায় প্রকল্পের সময় বাড়ানোর পর আগস্ট মাসে কাজ শেষ হয়। কিন্তু করোনার কারণে দফায় দফায় বিধিনিষেধে (লকডাউন) উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। এই সেতু নির্মাণ দক্ষিণাঞ্চলবাসীর কাছে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল।
২০১৩ সালের ১৯ মার্চ পায়রা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৬ সালের ১২ এপ্রিল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সঙ্গে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লংজিয়ান রোড এন্ড ব্রিজ কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রথমে সেতুর নির্মাণ কাজের জন্য ৩৩ মাস সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে পাঁচ বছরে তিন দফায় কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করার জন্য সময় নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। সেতুর সৌন্দর্যবর্ধনসহ সব ধরনের আনুষঙ্গিক কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হওয়ায় সেতুটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সবুর গত ৪ জুন পায়রা সেতুর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, সেতুটি নির্মাণের ক্ষেত্রে গুণগতমানের ব্যাপারে কোনো আপস করা হয়নি। ২০০ মিটার করে দীর্ঘ দুটি স্প্যান এই সেতুতে বসানো হয়েছে। নদীর তলদেশে ১৩০ মিটার দীর্ঘ পাইল বসানো হয়েছে। এক হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুর অনুমোদিত নকশা অনুসারে পায়রা সেতুর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪৭০ মিটার এবং প্রস্থ ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার। সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ১ হাজার ৩০০ মিটার। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেতুর টোল আদায়ের জন্য পটুয়াখালী প্রান্তে টোলপ্লাজা নির্মাণ করা হয়েছে। ভরা জোয়ারের সময়ও পায়রা সেতুর নিচ দিয়ে পণ্য ও জ¦ালানিবাহী সমুদ্রগামী জাহাজ নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়