নানা আয়োজনে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন

আগের সংবাদ

লো স্কোরিংয়ের রোমাঞ্চকর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার জয়

পরের সংবাদ

শাহজাদপুরে আগাম ক্ষিরা চাষে ব্যস্ত চাষিরা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. আব্দুল কুদ্দুস, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে : উপজেলার মাঠে মাঠে বন্যার পানি শোভা পেলেও উঁচু জমিতে আগাম জাতের ক্ষিরা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকরা। ফলন ও দাম ভালো পেলে লাভবান হবেন ক্ষিরা চাষিরা। বন্যার পানি জমিতে যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সম্ভাব্য পানি প্রবেশের রাস্তাগুলো মাটির বস্তা দিয়ে বন্ধ করে পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছেন চাষিরা।
সরেজমিন উপজেলার গাড়াদহ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় একশ বিঘা জমিতে আগাম ক্ষিরার চাষ করেছেন চাষিরা। জমি উত্তমরুমে চাষবাস করে ভালো জাতের ক্ষিরার বীজ রোপণ করেছে। বীজগুলো অঙ্কুরোদ্গম হয়ে লতায় পরিণত হয়েছে। জমিতে নিড়ানি দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। দিন রাত পরিশ্রম করে ফসলটি ফলানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা।
মাঠে ঘুরে ঘুরে পরামর্শ দিতে দেখা যাচ্ছে ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেনকে। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসে তাহলে খুব শিগগির কৃষকরা জমি থেকে ক্ষিরা সংগ্রহ করে বাজারজাত করতে পারবেন।
কথা হয় গাড়াদহ গ্রামের ক্ষিরা চাষি আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও তিনি তিন বিঘা জমিতে ক্ষিরার চাষ করেছেন। চাষবাস থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত প্রায় এক লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আরো প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হবে। যদি ফলন ভালো হয় এবং কোনো বালা মছিবত না আসে তাহলে তিন বিঘা জমি থেকে খরচ বাদ দিয়ে প্রায় দুই লাখ টাকা লাভ হবে। গাড়াদহ গ্রামের প্রায় অর্ধ শতাধিক কৃষক ক্ষিরা চাষ করেছেন।
শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আব্দুস ছালাম জানান, এ বছরে প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে ক্ষিরা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। উঁচু জায়গাগুলোতে আগাম জাতের ক্ষিরার চাষ হচ্ছে। বন্যার পরও নিচু জমিতে ক্ষিরার চাষ হবে। এই ফসলটি দুই মাসের ফসল। রোপণের ৩০ দিনের মধ্যেই ফসল হারভেস্ট শুরু হয়। ভালো ফলন ও দাম পেলে চাষিরা লাভবান হবেন আমি আশা করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়