নানা আয়োজনে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন

আগের সংবাদ

লো স্কোরিংয়ের রোমাঞ্চকর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার জয়

পরের সংবাদ

বলিউডে অভিষেক মিথিলার

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ বিজয়ী তানজিয়া জামান মিথিলা বলিউড সিনেমায় অভিনয় করেছেন। সিনেমাটির নাম ‘রোহিঙ্গা’। গেল বছর খবরটি গণমাধ্যমে এলেও পরে সিনেমাটি নিয়ে আর তেমন খবর প্রকাশ হয়নি। এবার জানা গেল সিনেমাটি মুক্তির তারিখ। মিথিলা জানালেন, নীরবেই টানা কাজ করেছেন তিনি। সিনেমাটির প্রযোজনা সংস্থার নির্দেশনা মেনেই গণমাধ্যমে কোনো তথ্য জানাননি। সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে নয়, মুক্তি পাচ্ছে ডিজিটাল প্লাটফর্মে। আগামী ১৫ নভেম্বর অ্যাপল টিভিতে (আইটিউনস) সিনেমাটি মুক্তি পাবে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন হায়দার খান। তিনি মূলত ফটোগ্রাফি করেন। তবে বলিউডের জনপ্রিয় সিনেমা ‘দঙ্গল’, ‘দাবাং’, ‘দাবাং ২’, ‘দাবাং ৩’, ‘কমান্ডো’সহ অনেক ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। একটি ফটোশুটের কাজের জন্য ইনস্টাগ্রামে এই নির্মাতা মিথিলার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মিথিলা বলেন, ‘ইনস্টাগ্রামে আমার ছবি দেখে পরিচালক হায়দার খান আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি একজন ভালো ফটোগ্রাফারও। তিনি প্রথমে আমাকে দিয়ে ক্যালেন্ডারের জন্য একটি ফটোশুট করাতে চেয়েছিলেন। ভুটানে গিয়ে শুট করার কথা ছিল, কিন্তু সে সময় আমি যেতে পারিনি। এরপরও কয়েকবার তার সঙ্গে ফটোশুটের পরিকল্পনা হয়, কিন্তু সময় ঠিকঠাক মিলছিল না। একদিন হঠাৎ করেই তিনি সিনেমাতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। আমার অভিনয়ের একটি ভিডিও পাঠাতে বলেন। তারপর সেটি দেখে আমাকে চূড়ান্ত করেন। এর দুই মাস পর শুটিং শুরু হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ভারতের আসামে ‘রোহিঙ্গা’র শুটিং হয়েছে।’ সিনেমাটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্র হুসনে আরার ভূমিকায় অভিনয় করেন মিথিলা। সিনেমায় রোহিঙ্গা এবং হিন্দি দুই ভাষাতে কথা বলতে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে। মিথিলা জানান, চূড়ান্ত হওয়ার পর ভারতে গিয়ে ক্লাস করিয়ে তাকে রোহিঙ্গা ভাষা শেখানো হয়েছে। স্ক্রিপ্ট নিয়ে স্টাডি করতে হয়েছে। ‘রোহিঙ্গা’ সিনেমায় মিথিলার নায়ক ‘মিস্টার ভুটান’ স্যাঙ্গে। যিনি সালমান খানের ‘রাঁধে’ সিনেমার প্রধান ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আর সিনেমার নাম ‘রোহিঙ্গা’ হলেও রোহিঙ্গা ইস্যু সিনেমাটির উপজীব্য নয় বলে জানিয়েছেন মিথিলা। তিনি বলেন, এতে কোনো পলিটিক্সও নেই। মূলত একজন রোহিঙ্গা মেয়ের ভালোবাসার গল্প দেখানো হয়েছে। সিনেমাটির প্রচারে পরিচালক হায়দার খান ও স্যাঙ্গে বাংলাদেশে আসতে পারেন। শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে মিথিলা বলেন, ‘আমরা একটি সরকারি পিকনিক স্পটে থেকে শুটিং করতাম। পাশেই জঙ্গল, পাহাড় ও নদী রয়েছে। রাতে বুনো হাতির দল চলে আসত। একবার হাতির তাড়া খেয়ে আমাদের শুটিং টিমের একজন আহত হয়েছিলেন। সেখানে কোনো মোবাইল নেটওয়ার্ক ছিল না। ৪-৫ দিন পর পর ৪০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলতাম। একেবারে অন্যরকম অভিজ্ঞতা। সিনেমায় হুসনে আরা চরিত্রটি কম কথা বলে। শুটিংয়ে পরিচালক হায়দার খান বেশ সহযোগিতা করেছেন। গহিন এলাকায় শুটিং হওয়ায় কাজে সুবিধা হয়েছে। চরিত্রটিতেই থাকা গেছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক ছিল না। এজন্য সারাক্ষণ চরিত্রের মধ্যে ডুবে থাকতাম। ফলে চরিত্রটি ধারণ করে কাজ করাটা সহজ হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়