নানা আয়োজনে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন

আগের সংবাদ

লো স্কোরিংয়ের রোমাঞ্চকর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার জয়

পরের সংবাদ

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিডি কার্ড বাণিজ্যের অভিযোগ : তালিকায় নাম আছে তবুও চাল পাচ্ছেন না হতদরিদ্ররা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : প্রায় ১০ মাস আগে আলুফা বেগমের নামটি ভিজিডির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তালিকায় নাম তুলতে চেয়ারম্যানকে দিতে হয়েছে টাকা। তবুও অদ্যাবধি ভিজিডির চাল পাননি তিনি। তালিকায় নাম থাকলেও চাল না পাওয়ার দলে আলুফা শুধু একা নন। তার মতো অন্তত ১২টি হতদরিদ্র পরিবার ভিজিডির এই সুবিধা বঞ্চিত হয়েছেন।
আলুফা বেগমের বাড়ি গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের যোগেন্দ্রনগর গ্রামে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। ওই অভিযোগে ভিজিডির তালিকায় নাম থাকা সুবিধা বঞ্চিত ১২ জন নারীর স্বাক্ষর রয়েছে।
ভুক্তভোগী আলুফা জানান, তিনি দিনমজুরি করে কোনোমতে দিনাতিপাত করছেন। পেটের তাগিদে ভিজিডি কার্ড পেতে চেয়ারম্যানের কাছে ধর্ণা দেন। কিন্তু ভিজিডির কার্ডে নাম অন্তর্ভুক্ত করতে টাকার দাবি করেন চেয়ারম্যান। তালিকায় নাম উঠাতে করোনাকালীন অভাবের সময়ও সুদের ওপর টাকা নিয়ে বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে দিলেও আজ পর্যন্ত চাল পাননি।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তাসলিমা বেগম, সালমা বেগম, ৫নং ওয়ার্ডের পারভিন বেগম, শাপলা খাতুন ও ৬নং ওয়ার্ডের রিনা খাতুনসহ তালিকায় নাম থাকা ১২ জন নারী জানান, তারা দরিদ্র হলেও ভিজিডির জন্য প্রায় ১০ মাস আগে চেয়ারম্যানকে টাকা দিয়েছেন। সেসময় কার্ড দেয়ার আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে বাছাইপর্বে নাম বাতিলের কথা জানান চেয়ারম্যান মোজাম্মেল। সম্প্রতি তাদের মধ্যে একজনের টাকা ফেরতও দিয়েছেন চেয়ারম্যান নিজেই।
৮নং ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী নারী শিউলি বেগম জানান, সম্প্রতি জানতে পারেন ভিজিডির তালিকায় তাদের নাম আছে। কিন্তু ১২ জন দরিদ্রের চাল তুলে নেন চেয়ারম্যান নিজেই। এ কারণে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
তবে চেয়ারম্যান মোজাম্মেল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা কুৎসা রটাচ্ছেন। কিছু মানুষকে প্রভাবিত করে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন। তাছাড়া অভিযোগকারীদের নাম ভিজিডির তালিকায় রয়েছে। তারা কেন চাল পান না তা তিনি জানেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিয়াঘাট ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ৩ জন, ৫নং ওয়ার্ডের ৪ জন, ৬নং ওয়ার্ডের ২ জন ও ৮নং ওয়ার্ডের ১ নারীর ভিজিডি চক্র-২০২১ এর তালিকা নাম রয়েছে।

কিন্তু তারা ১০ মাস ধরে সরকারি সুবিধার এই চাল পান না।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন ভিজিডি বঞ্চিতদের অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগে তিনি জানতে পেরেছেন ভিজিডির তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাল পাচ্ছেন না বিয়াঘাট ইউনিয়নের ১২টি হতদরিদ্র পরিবার। অথচ প্রায় ১০ মাস আগে এসব দরিদ্রের নাম ভিজিডি কার্ডের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়