ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে আরেক মামলা

আগের সংবাদ

রুট পারমিটের তোয়াক্কা নেই রাজধানীর গণপরিবহনের

পরের সংবাদ

মুসলমানদের ‘ইহুদি’ বলার অভিযোগ : নন্দীগ্রামে হাইওয়ে পুলিশ কনস্টেবল প্রত্যাহার

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : নন্দীগ্রামে কুন্দারহাট হাইওয়ে এক পুলিশ কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কনস্টেবল সিভিল পোশাকে থেকে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ায় তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার কুন্দারহাট বাজারে টুকু মিয়ার হোটেলে সিভিল পোশাকে বসেছিলেন কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার পুলিশ কনস্টেবল হাসান আলী। এ সময় সেখানে দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে হামলার পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা হচ্ছিল। তখন পুলিশ কনস্টেবল হাসান আলী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিষয় নিয়ে কথা বলেন। এ নিয়ে ভাটগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জুলফিকার আলীর ছেলে আহম্মেদ আলীসহ স্থানীয়রা তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায় কনস্টেবল হাসান আলী মুসলমানদের ইহুদি বলে মন্তব্য করেন। তখন স্থানীয় লোকজন আরো উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পরে হাসান হাইওয়ে থানায় ফোন করলে অন্য পুলিশ সদস্যরা এসে তাকে উদ্ধার করেন। কনস্টেবল হাসান আলী বলেন, হোটেলে কিছু লোকজন সাম্প্রদায়িক আলোচনা করছিল। এ সময় আমিও সিভিল পোশাকে চা খেতে গিয়েছিলাম।
আমি মুসলমানদের ইহুদি বলিনি। তারা পুলিশকে গালিগালাজ করে, তার প্রতিবাদ করেছি। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। পরদিন শনিবার আমাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
এ বিষয়ে কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় কুন্দারহাট বাজারে তুচ্ছ ঘটনা ঘটেছে। সিভিল পোশাকে থাকায় কনস্টেবল হাসানকে তারা চিনতে পারেনি। তাই হাসানকে প্রশাসনিক কারণে প্রত্যাহারের করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়