ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে আরেক মামলা

আগের সংবাদ

রুট পারমিটের তোয়াক্কা নেই রাজধানীর গণপরিবহনের

পরের সংবাদ

গোবিন্দগঞ্জে দোকানে আগুন মালিকের দাবি নাশকতা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গাইবান্ধা ও গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি : জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় এক হিন্দু ব্যবসায়ীর কাপড়ের দোকানে আগুনে নগদ টাকা, কাপড়সহ দুটি দোকানের ৫০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। ওই ব্যবসায়ীর দাবি, তার দোকানে কেউ আগুন দিয়েছে। তবে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বা কয়েলের আগুন থেকে এর সূত্রপাত হতে পারে।
গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় লোকজন গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে কামদিয়া বাজারের রমেশ চন্দ্র দাশের কাপড়ের দোকানে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। তারা গোবিন্দগঞ্জ ও পার্শ্ববর্তী ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই আগুন পুরো দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। এতে পার্শ্ববর্তী বিপ্লব আকন্দের কাপড়ের দোকানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তার দোকানেরও আংশিক ক্ষতি হয়েছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের গোবিন্দগঞ্জ ও ঘোড়াঘাট ইউনিটের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে দুই দোকানের নগদ টাকা, কাপড়সহ ৫০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।
দোকান মালিক রমেশ চন্দ্র দাশ কামদিয়া ইউনিয়ন পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে কে বা কারা শত্রæতাবশত তার দোকানে আগুন দিতে পারেন। আগুনে পুড়ে তার দোকানের সব কিছু পুড়ে গেছে।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক আরিফ আনোয়ার বলেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর। তদন্ত ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে ঘটনাটি ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিস তদন্ত করছে। একই বিষয়ে ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক নিরঞ্জন সরকার মোবাইলে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের দিনাজপুর ও ঢাকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদন্ত করবেন। এর আগে কিছু বলা যাচ্ছে না। গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি মেহেদী হাসান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বা কয়েলের আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুপুরে সিআইডি রংপুর কার্যালয় থেকে ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা কামদিয়া বাজারের আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকান থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে। তারা সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছেন। এদিকে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও গোবিন্দগঞ্জের ইউএনও আবু সাঈদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ সুপার বলেন, সবদিক বিবেচনা করে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। এদিকে জেলা পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রণজিত বকসি বলেন, এটা নাশকতা হতে পারে। দোকানে আগুন লাগানো হয়েছে। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। সন্ধ্যা ৬টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়