এ মাসের ১৫ দিনে ডেঙ্গু রোগী ছাড়ালো ৩ হাজার

আগের সংবাদ

ভস্মীভূত হিন্দুপল্লীজুড়ে আতঙ্ক : মূল হোতাসহ ৪৬ জন গ্রেপ্তার, থানায় দুই মামলার প্রস্তুতি, প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ > সাম্প্রদায়িক হামলা

পরের সংবাদ

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ওমানের বাজিমাত

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (বাছাইপর্ব) সপ্তম আসরের প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত করেছে ওমান। ১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কোন উইকেট না হারিয়ে মাত্র ১৩.৪ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নামা পাপুয়া নিউগিনি ৯ উইকেট হারিয়ে থামে মাত্র ১২৯ রানে। বল হাতে স্পিন ঘূর্ণিতে ওশেনিয়া মহাদেশের দেশটির ব্যাটিং লাইনআপ একাই ধসিয়ে দেন ওমান অধিনায়ক জিসান মাকসুদ। তিনি চার ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উইকেট। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে ড্যানিয়েল ভ্যাট্টরির পরে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড। ম্যাচটিতে ওমানের দুই ওপেনার জতিন্দার সিং ৪২ বল খেলে ৭৩ রান এবং আকিব ইলিয়াস ৪৩ বলে ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন। ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনির পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক আসাদ ভালা। তিনি ৪৩ বলে ৫৬ রান করে আউট হন।
পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটিতেই নিজেদের ভয়ংকর চেহারা দেখালো ওমান। আল আমেরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে গতকাল র‌্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ ওপরে থাকা পাপুয়া নিউগিনিকে পাত্তাই দেয়নি ওমান। ১০ উইকেট ও ৩৮ বল হাতে রেখে বিশাল জয়ে বিশ্বকাপে শুভসূচনা করেছে স্বাগতিকরা। ওমানের আসল কাজটা অবশ্য করে দিয়েছিলেন বোলাররাই। ব্যাটসম্যানদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩০ রানের। টি-টোয়েন্টি ফরমেটে যেটাকে মামুলি লক্ষ্যই বলা যায়। তাই বলে এত মামুলিও নয় যে, ১০ উইকেট হাতে রেখেই এমন অনায়াস জয় পাওয়া যাবে। র‌্যাঙ্কিংকে যদি শক্তিমত্তার মানদণ্ড ধরা হয়, তবে দুই দলের মধ্যে তো কিছুটা পিছিয়ে ছিল ওমানই। কারণ পাপুয়া নিউগিনি যেখানে ১৫তম স্থানে সেখানে ওমানের অবস্থান ১৮তে। তবে ঘরের মাঠের সমর্থন যেন স্বাগতিক দলের দুই ওপেনার আকিব ইলিয়াস আর জতিন্দর সিংকে পেছনে তাকাতেই দিল না। ইলিয়াস ৪৩ বলে ৫০ আর জতিন্দর ৪২ বলে ৭৩ রানের ঝড় তুলে বিজয়ীর বেশেই মাঠ ছেড়েছেন। এর আগে পাপুয়ার শুরুটা হয়েছিল ভয়াবহ, দলের রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান দুই ওপেনার। সেখান থেকে মাঝে হাল ধরেন টপঅর্ডারের দুই ব্যাটার। কিন্তু শেষ দিকের ভয়াবহ ব্যাটিং ধসে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে সংগ্রহটা বড় হয়নি প্রথম টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেয়া দেশটির। স্বাগতিক ওমানের বোলিং তোপে একপর্যায়ে মাত্র ৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। শেষ পর্যন্ত তাদের ইনিংস থামে ৯ উইকেটে ১২৯ রানে।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ওমান অধিনায়ক জিশান মাকসুদ। তার বোলিং তোপেই ধসে যায় ভালাদের ইনিংস। ম্যাচটিতে নিজের দ্বিতীয় ওভারে চার বলে তিন উইকেট শিকার করেন জিশান। সব মিলিয়ে ২০ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
এর আগে ইনিংসের পঞ্চম বলেই সাজঘরে ফিরে যান টনি উরা। পরের ওভারের তৃতীয় বলে একই পথ ধরেন আরেক ওপেনার লেগা সিয়াকা। শূন্য রানে দুই উইকেট পতনের পর তবে তৃতীয় উইকেটে পাল্টা আক্রমণ করেন অধিনায়ক আসাদ ভালা ও চার নম্বরে নামা চার্লস আমিনি। এ দুজনের জুটিতে মাত্র ১০ ওভারেই আসে ৮১ রান। ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে রানআউটের মাধ্যমে ভাঙে এই জুটি। দুর্ভাগ্যজনক আউট হওয়ার আগে ৪ চার ও ১ ছয়ের মারে ২৬ বলে ৩৭ রান করেন আমিনি। তবে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন অধিনায়ক ভালা। ইনিংসের ১৫তম ওভারে কলিমউল্লাহর বলে আউট হন ভালা। তার ব্যাট থেকে আসে চারটি ৪ ও ৩ ছয়ের মারে ৪৩ বলে ৫৬ রানের ইনিংস। দলীয় ১০২ রানের মাথায় চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ভালার বিদায়ের পরপরই মূলত মোড়ক লাগে পাপুয়া নিউগিনির ইনিংসে। শেষের ছয় ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৭ রান তুলে নেয় ভালারা। এর মধ্যে দলীয় ১১২ থেকে ১১৮ রানের মধ্যেই পাঁচটি উইকেট হারায় তারা। যার ফলে শেষ হয়ে যায় বড় স্কোর গড়ার সম্ভাবনা। ওমানের পক্ষে ২০ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন জিশান। এছাড়া বিলাল খান ও কলিমউল্লাহর শিকার ২টি করে উইকেট।
এদিকে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ইতিহাস গড়েছেন ওমান অধিনায়ক জিশান মাকসুদ। এতদিন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে সেরা বোলিং ফিগারটা ছিল নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টোরির। এবার তাতে যোগ হয়েছে জিশানের নামও। বিশ্বকাপের প্রথম আসরে ভারতের বিপক্ষে কেবল ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন ভেট্টোরি। ওই ম্যাচে তিনি নিয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর, রবিন উথাপ্পা, ইরফান পাঠান ও হরভজন সিংয়ের উইকেট। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১০ রানের জয় পায় কিউইরা। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠে ভেট্টোরির হাতে। আজ ১৪ বছর পর ওই রেকর্ডে ভাগ বসালেন জিশান। তিনি সাজঘরে ফিরিয়ে দিয়েছেন সাসু বাবু, নরমান ভানুয়া, কিপলিন দরিগা ও ডেমিয়েন রাবুকে। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট পেয়েছেন জিশান। তবু প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে আসা পাপুয়া নিউগিনিকে অলআউট করতে পারেনি ওমান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি ওমানের প্রথম জয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়