কাগজ ডেস্ক : মার্কিন একটি যুদ্ধজাহাজকে তাড়িয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। তবে দেশটির এই দাবিকে ‘মিথ্যা’ বলে অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার জাপান সাগরে চীন-রাশিয়া নৌমহড়া চলার সময় রুশ জলসীমা লঙ্ঘনের চেষ্টা করা যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজকে ওই এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়ার দাবি করে মস্কো। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ওয়াশিংটন মস্কোর এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে বলছে, তাদের গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার চেফি জাপান সাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ছিল, এ সময় রাশিয়ার একটি ডেস্ট্রয়ার ৬০ মিটারের মধ্যে চলে আসে।
মার্কিন সামরিক বাহিনী বিবৃতিতে বলছে, ‘রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দুটি নৌযানের মধ্যে যা যা হয়েছে বলে জানিয়েছে তা মিথ্যা। সবসময় ইউএসএস চেফি আন্তর্জাতিক আইন ও রীতি অনুযায়ী তার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।’
এর আগে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, তাদের নৌযান অ্যাডমিরাল ট্রিবুটস যুক্তরাষ্ট্রের নৌযান চেফিকে বেতারে সতর্কবার্তা পাঠানোর পরও তারা যাত্রাপথ না বদলে উল্টো পতাকা তুলে দিয়ে হেলিকপ্টার উড্ডয়নের প্রস্তুতির সংকেত দেয়; যার অর্থ ছিল, মার্কিন ডেস্ট্রয়ারটি যাত্রাপথ বা এর গতি কোনোটিই বদলাবে না। এর প্রতিক্রিয়ায় অ্যাডমিরাল ট্রিবুটস আন্তর্জাতিক আইনের কাঠামোর মধ্যে থেকে এমন যাত্রাপথ নির্ধারণ করে যেন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে রাশিয়ার জলসীমা থেকে তাড়িয়ে দেয়া যায়। রাশিয়ার দাবি, দুটি নৌযানের মধ্যে দূরত্ব ৬০ মিটারের চেয়েও কমে এলে চেফি তার যাত্রাপথ পরিবর্তন করে, প্রায় ৫০ মিনিটব্যাপী চলা এই ঘটনাটি ঘটেছে জাপান সাগরের পশ্চিমে পিটার দ্য গ্রেট বে-তে।
মার্কিন ডেস্ট্রয়ারের ক্রুদের ‘অপেশাদার আচরণে’ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মার্কিন সামরিক অ্যাটাশেকে ডেকে পাঠায় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আরআইএ।
শুক্রবার অন্য এক বিবৃতিতে রাশিয়া জানিয়েছে, জাপান সাগরে চীনের সঙ্গে চলা তাদের যৌথ নৌমহড়ায় একসঙ্গে অভিযান এবং ভাসমান মাইনকে গোলা দিয়ে ধ্বংসের অনুশীলন চালানো হয়েছে।