গুলিস্তানে বাস উল্টে ২ কাবাডি খেলোয়াড় আহত

আগের সংবাদ

মণ্ডপে হামলার নেপথ্যে কারা

পরের সংবাদ

মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের প্রভাব : কামারখন্দে লাইব্রেরি আছে, পাঠক নেই

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কামারখন্দ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : বইয়ের সঙ্গে পাঠকের আত্মিক সম্পর্ক তৈরি করতে এক সময় তরুণদের অবসর সময় কাটত কামারখন্দ উপজেলার এই লাইব্রেরিতেই। তবে লাইব্রেরিতে এখন আর তেমন পাঠক দেখা যায় না। দীর্ঘদিন ধরে বইগুলোও পড়ে ছিল অবহেলায় ও অপাঠ্য অবস্থায়। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে ছাপা হরফের বইয়ের প্রতি আগ্রহ হারিয়েছেন পাঠকরা। একটা সময় পাঠক সংখ্যা ছিল প্রায় ১ হাজার ৬০০, বই সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার। দীর্ঘদিন অবহেলিত অবস্থায় থাকায় কিছুদিন পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত পাঠক সংখ্যা ছিল শূন্যের কোটায়। তারপর লাইব্রেরি সংশ্লিষ্ট নতুন কমিটি ও কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেরিনা সুলতানার প্রচেষ্টায় লাইব্রেরি এখন ভিন্ন রূপ নিয়েছে। আগের সব কিছু ভুলে গিয়ে লাইব্রেরি সাজানো-গোছানো হচ্ছে নতুন করে। ইতোমধ্যেই বইয়ের শ্রেণি ভাগ করা হয়েছে এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি গ্যালারি, যা সব বয়সি মানুষের মনকে আকৃষ্ট করবে। বই পড়া, চিত্রাঙ্কন, বিতর্ক চর্চা, আবৃত্তি, সাহিত্য চর্চা ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পাঠক ফেরানোর প্রচেষ্টা চলছে। লাইব্রেরিয়ান আশিক সরকার বলেন, এখানে এক সঙ্গে ৫০ জন পাঠকের (শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত) নিরিবিলি পরিবেশে বসে বই পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত লাইব্রেরি খোলা থাকে। নতুন করে পাঠক নিবন্ধন চলছে। এতে নানা বয়সি বইপ্রেমীদের মধ্যে একটা আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। বইপ্রেমিক ইমরান হুসাইন বলেন, একজন শিক্ষিত মানুষের কাছে বইয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। বই চিন্তার খোরাক জোগায়। যেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চিন্তার খোরাক খুবই কম। তাই বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। তবে পাঠক বাড়ানোর জন্য বই পড়ার প্রতিযোগিতা ও পুরস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে। পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া জানান, পাঠ্য বইয়ের বাইরে অন্য বই পড়ার প্রবণতা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা। বর্তমানে স্কুলপড়–য়া স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ প্রায় সব ধরনের মানুষের হাতে ইন্টারনেট সংযোগসহ স্মার্টফোন রয়েছে। তারাই মূলত গ্রন্থাগারের পাঠক ছিল। তবে এখন তারা ইন্টারনেটের দুনিয়াতেই বেশি সময় পার করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পাবলিক লাইব্রেরির সভাপতি মেরিনা সুলতানা জানান, করোনার জন্যই লাইব্রেরিতে পাঠক কমে গেছে। তবে সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বই পড়া প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন জ্ঞানমূলক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কারের ব্যবস্থা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়