গুলিস্তানে বাস উল্টে ২ কাবাডি খেলোয়াড় আহত

আগের সংবাদ

মণ্ডপে হামলার নেপথ্যে কারা

পরের সংবাদ

মানিকগঞ্জে কিশোর রাজু হত্যা : অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে সংঘর্ষে ৩ পুলিশ আহত

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের সিংগাইরে এক কিশোরকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত হত্যাকারীর বাড়ি ঘেরাও করেন ভুক্তভোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর পুলিশের সঙ্গে উত্তেজিত জনতার সংঘর্ষ ঘটে। সিংগাইর উপজেলার শায়েস্তা ইউনিয়নের দক্ষিণ সাহরাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ সাহরাইল গ্রামের কোরাইশির ছেলে আলিফ (১৬) পূর্ব বিরোধের জেরে একই গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে রাজুকে (১৪) হত্যা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আলিফ কৌশলে রাজুকে সাইকেলযোগে পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের রূপারচর এলাকার কালীগঙ্গা নদীর তীরে কাশবনে নিয়ে যায়। সেখানে রাজুকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে আলিফ চলে যায়।
এদিকে রাজুর পরিবার তাকে খুঁজে না পেয়ে রাতে আলিফের বাড়িতে যায়। আলিফকে সঙ্গে নিয়ে রাজুর পরিবার রাজুকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। রাত ৯টার দিকে স্থানীয় কাঁচামালের ব্যবসায়ী নুরু মিয়া রূপারচর বাজার থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে গোঙানির শব্দ শুনতে পান। সেখানে গিয়ে মৃতপ্রায় অবস্থায় রাজুকে উদ্ধার করে সাহরাইল ইব্রাহিম মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ভোরে রাজু মারা যায়।
রাজুর মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তার স্বজন এবং এলাকাবাসী সকাল ১০টার দিকে আলিফের বাড়ি ঘেরাও করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে আলিফকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় আলিফসহ তার পরিবারের তিন সদস্যকে উদ্ধার করে সিংগাইর থানায় নেয়া হয়েছে।
কী কারণে রাজুকে হত্যা করা হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি পুলিশ। তবে পাবজি খেলাকে কেন্দ্র করে রাজুর সঙ্গে আলিফের বিরোধ ছিল বলে জানা গেছে। হয়তো সেই বিরোধের কারণেই রাজুকে কৌশলে নদীর পাড়ে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. গোলাম আজাদ খান বলেন, সকালে আলিফের বাড়ি ঘেরাওয়ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। আলিফকে উদ্ধারের সময় উত্তেজিত জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে আমাদের তিনজন সদস্য আহত হন। দুপুরে আলিফসহ তার পরিবারের তিনজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়