গুলিস্তানে বাস উল্টে ২ কাবাডি খেলোয়াড় আহত

আগের সংবাদ

মণ্ডপে হামলার নেপথ্যে কারা

পরের সংবাদ

নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন জরুরি : তামাকজনিত রোগে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মৃত্যু

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : বাংলাদেশে প্রতি বছর এক লাখ ৬১ হাজার মানুষ তামাকজনিত রোগে মারা যায়, আর পঙ্গুত্ববরণ করেন আরো কয়েক লাখ মানুষ। এখনো দেশের ৩৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী তামাক ব্যবহার করেন- যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। শক্তিশালী আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দেশ দ্রুতই তামাক-মহামারির কবলে পড়বে। সংশোধনীর মাধ্যমে বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি যুগোপযোগী করা জরুরি।
গতকাল শনিবার দুপুরে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি যুগোপযোগী করা এবং এ বিষয়ে গণমাধ্যমের করণীয় শীর্ষক সাংবাদিক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস্ (সিটিএফকে) এর সহায়তায় গবেষণা ও এডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা) এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় চট্টগ্রাম বিভাগের আত্মার প্রতিনিধি প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ২৪ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞার তামাক নিয়ন্ত্রণবিষয়ক প্রকল্প প্রধান হাসান শাহরিয়ার। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন প্রক্রিয়ার বর্তমান অবস্থা এবং এ বিষয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে তুলে ধরেন সিটিএফকের কমিউনিকেশন ম্যানেজার সরকার শামস বিন শরীফ। আলোচক হিসেবে অংশ নেন চট্টগ্রাম আত্মার আহ্বায়ক দেশ টেলিভিশনের বিভাগীয় প্রতিনিধি আলমগীর সবুজ এবং আত্মার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকার চিফ রিপোর্টার সাইফুল আলম।
কর্মশালায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন বিষয়ে যেসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয়, সেগুলো হচ্ছে- ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ বিলুপ্তসহ সব পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা; বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা; তামাক কো¤পানির ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি’ বা সিএসআর কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা; বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা এবং প্যাকেটবিহীন জর্দা-গুল বিক্রয় নিষিদ্ধ করা; ই-সিগারেট এবং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টস (এইচটিপি)সহ সব ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস আমদানি, উৎপাদন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা এবং সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধিসহ তামাকপণ্য মোড়কজাতকরণে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়