গুলিস্তানে বাস উল্টে ২ কাবাডি খেলোয়াড় আহত

আগের সংবাদ

মণ্ডপে হামলার নেপথ্যে কারা

পরের সংবাদ

ডিএনসিসি মেয়র আতিকের ঘোষণা : রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিংয়ে ১০ শতাংশ কর রেয়াত

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, যেসব ভবনে রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে, সেসব ভবন মালিকদের ১০ শতাংশ হোল্ডিং কর রেয়াত দেয়া হবে। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের বলরুমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ‘পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সেক্টরে ৫০ বছরের অর্জন ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ওয়াটারএইড যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়াটারএইডের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলিক পরিচালক মো. খায়রুল ইসলাম। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ডিপিএইচই) প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান, ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ডিওয়াসা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান এবং অধ্যাপক ড. এম ফিরোজ আহমেদ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান।
মেয়র আতিক আরো বলেন, নগরীর অধিকাংশ বাসাবাড়ি এমনকি অভিজাত এলাকার ভবনগুলোতেও কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল না থাকায় অপরিশোধিত পয়ঃবর্জ্য সরাসরি ড্রেন কিংবা খালে পতিত হওয়ায় জলাশয়ের পানিসহ সার্বিক পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কাজ করে যাচ্ছে।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ঢাকামুখী অভিবাসন রোধ করা না গেলে যত পরিকল্পনাই নেয়া হোক তা কার্যকর হবে না। ঢাকা ২ কোটি ১০ লাখ মানুষের শহর। আমাদের আগে এই বিপুলসংখ্যক মানুষের নাগরিক সুবিধা, উন্নত ঢাকার সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য গ্রামগুলোতে চাকরি, কর্মসংস্থান ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। যখন ঢাকার দিকে এই গতি (গ্রাম হতে শহরে অভিবাসন) রোধ করতে পারব, তখনই আমরা ২০৩০ সালে ঢাকার ২ কোটি ১০ লাখ মানুষের যথার্থ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে পারব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ পানির চাহিদা পূরণে ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রিড লাইন নিয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া ট্রান্স-বাউন্ডারি ওয়াটার গ্রিড লাইন নিয়েও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মন্ত্রী জানান, ঢাকা শহরকে একটি আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন ও বাসযোগ্য নগরী গড়তে খালগুলো ওয়াসার কাছ থেকে সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই দুই মেয়র চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছে। অসংখ্য খাল ইতোমধ্যে দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করেছে। দুই সিটি মেয়রের মাধ্যমে ঢাকার পরিবর্তন আনা সম্ভব।
দেশের ৯৮ ভাগ এবং বস্তি এলাকা ৭০ ভাগ মানুষ সুপেয় পানির আওতায় এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও হাইজিন সেক্টরে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন হয়েছে। এসডিজি-২০৩০ এবং ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে সরকার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়