গুলিস্তানে বাস উল্টে ২ কাবাডি খেলোয়াড় আহত

আগের সংবাদ

মণ্ডপে হামলার নেপথ্যে কারা

পরের সংবাদ

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা : বাঘিনী জয়ার ঘরে আরো দুই অতিথি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘিনী জয়ার ঘরে এসেছে আরো দুই অতিথি। গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাঘিনী জয়া দুই শাবকের জন্ম দেয়। দুই শাবকই বাঘিনী বলে জানিয়েছেন চিড়িয়াখানার কর্মকর্তারা।
চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, এর আগে গত বছরের ১৪ নভেম্বর বাঘিনী ‘জয়া’র ঘরে জন্ম নিয়েছিল তিন শাবক। মায়ের অবহেলায় পরদিন একটি শাবক এবং ১৮ নভেম্বর আরো একটি শাবক মারা যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় থাকা আরেকটিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে লালন-পালন করা হয়। মানুষের যতেœ বড় করা হয়েছিল যে শাবকটিকে। তার নাম রাখা হয়েছে ‘জো-বাইডেন’। এবার বাঘিনী জয়ার একসঙ্গে দুইটি মেয়ে শাবকের জন্ম দেয়। তবে এবার জন্ম নেয়া শাবক দুটি মা জয়ার সঙ্গেই রয়েছে। শুরুর দিকে বাঘের স্বভাব অনুযায়ী অসহিষ্ণু আচরণ শুরু করে জয়া। তবে আস্তে আস্তে আচরণ পরিবর্তনের ফলে শাবক দুটিকে এখন জয়ার খাঁচাতেই রাখা হয়েছে। সেখানেই ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে জয়ার দুই বাঘিনী শাবক। এ নিয়ে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা দাঁড়াল এক ডজনে। যার মধ্যে দুটি বাঘ আর অন্যগুলো বাঘিনী।
২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১১ ও ৯ মাস বয়েসি একটি বাঘ ও বাঘিনী আনা হয়েছিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়। সেগুলোর নাম দেয়া হয়েছিল রাজ ও পরী। ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই তাদের তিনটি সন্তানের জন্ম হয়। এর মধ্যে একটি শাবক ২০ জুলাই মারা যায়। বেঁচে থাকা দুটি শাবকের মধ্যে একটি কমলা-কালো ডোরাকাটা আর অন্যটি বিরল সাদা-কালো। সাদা-কালো ডোরাকাটা বাঘটির নাম দেয়া হয়েছিল ‘শুভ্রা’ আর কমলা-কালো ডোরাকাটা বাঘটির নাম দেয়া হয়েছিল ‘জয়া’। বলা হয়, শুভ্রাই দেশের প্রথম সাদা বাঘ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়