গুলিস্তানে বাস উল্টে ২ কাবাডি খেলোয়াড় আহত

আগের সংবাদ

মণ্ডপে হামলার নেপথ্যে কারা

পরের সংবাদ

গরমে পুরুষের স্টাইল

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

‘গরমে আবার স্টাইল?’ ভ্রæ কুঁচকে এই প্রশ্ন করার দিন শেষ। শুধু মানুষ না, এই সময়ে প্রকৃতিও থাকে ‘স্টাইল মুডে’। দেশের ফ্যাশন হাউসগুলোয় গরমের পোশাক বিক্রি চলছে এখন। গরম আর বৃষ্টির কারণে দেশের প্রকৃতি এখন নানা রঙে বর্ণিল। প্রকৃতির এই রঙের কারণেই আলাদা করে ঝলমলে রঙের পোশাক পরার দরকার পরে না। তাই পোশাকের রং কিছুটা হালকাই রাখেন ডিজাইনাররা। আর অফিস বা সারাদিন ফুরফুরে থাকতে বেছে নিতে পারেন টি-শার্ট বা পোলো বা শার্টের মতো পোশাক। জিনস বা গ্যাবার্ডিন প্যান্টের সঙ্গে এগুলো মানিয়েই যাবে। কাটে-ছাঁটে নতুন এসব দিব্যি স্টাইলিশ দেখাবে আপনাকে।
ফ্যাশন ব্র্যান্ড ইজির এর পরিচালক তৌহিদ চৌধুরী বলেন, ‘গরমে ফ্লোরাল মোটিভ খুব জনপ্রিয় তরুণদের পোশাকের ক্যানভাস হিসাবে। কিন্তু চেক বা স্ট্রাইপের শার্টের আবেদন সবসময়। ফরমাল বা ক্যাজুয়াল ড্রেসআপ ভিন্নতর হতে পারে পরিবেশ এর নির্ভর করে। বাকি সময় বা রাতের কোন দাওয়াতে গেলে পোলো, শার্টের চাহিদাও থাকে গরমের সময়টায়। এবার যেমন গরমের কারণে রঙ এবং প্রিন্টের দিকে নজর দেয়া হয়েছে। প্যাটার্ন নিয়েও চলছে নানা ধরনের নিরীক্ষা। এছাড়াও এধরনের পোশাক গরম ছাড়াও সারা বছরই পরাও যায়। ইদানিং পলো টি-শার্ট এবং শার্টের ক্ষেত্রে এক কালার বেশ চলছে। পাশাপাশি এখন ইঞ্জিনিয়ারিং স্ট্রাইপের পলো শার্টেও চাহিদাও বেশ।’
ফ্যাশন হাউস জেন্টল পার্কের চেয়ারম্যান শাহাদৎ চৌধুরী বাবুর সঙ্গে কথা বলেও তেমনটা বোঝা গেল। তিনি বলেন, বিষয়টা কিন্তু এমন না; যে গরমে ছেলেদের পোশাকে শুধু সাদা রং চলছে। সব রঙের দেখা মিলবে গরমের পোশাকে। তবে সেখানে গাঢ় রং না নিয়ে সব ধরনের রঙেরই হালকা শেড বেছে নেয়া হয়। এতে গরমে এক ধরনের স্বস্তি পাওয়া যায়।
এবার আসি গরমের পোশাকেই কেন সারা বছর। কেননা, সকাল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে গরমের তীব্রতা। নানা কাজে ছুটতে হয় ঘরের বাইরে। প্রচন্ড গরমে একদিকে যেমন চারপাশের সবকিছুতে অস্থির লাগে তেমনি ঘেমে নেয়ে একাকার হয় পুরো শরীর। এই প্রচণ্ড গরম থেকে ছেলেদের কিছুটা রেহাই পেতে তাই নজর দিতে হবে নিত্যদিনের পোশাকের দিকে। এধরনের আবহাওয়ায় কেমন পোশাক পড়লে গরম কম লাগবে এবং পোশাকে কী কী বৈশিষ্ট্য থাকবে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
এদিকে ক্যাটস আইয়ের পরিচালক ও ডিজাইনার সাদিক কুদ্দুস মনে করেন, ‘গরমে আরামের কথা ভাবলে সুতি কাপড়ের বিকল্প নেই। শার্টের নকশায়ও আছে নতুনত্ব। সব সময়ের জনপ্রিয় চেক শার্ট ছাড়াও নানা ধরনের ছাপা নকশা করা হয়েছে।’
ব্র্যান্ডগুলোর স্টোর ঘুরে দেখা যায় পকেট ছাড়া শার্টও চলতি ট্রেন্ডে ইন। তবে চলতি ধারার শার্টে থাকছে পকেটের ব্যবহারও।
এক ও দুই পকেটের এসব শার্টের কাঁধ, কলার বা হাতার ভাঁজে ছোট ছোট পরিবর্তন চোখে পড়বে। কলারেও আছে ভিন্নতা। অনেক হাউসের শার্টেই উঁচু কলার, ব্যান্ড কলার ইত্যাদি দেখা গেল। এক রঙের পোলো শার্ট ছাড়াও আছে ছাপা নকশার পোলো। ছাপায় আছে ফুল, জ্যামিতিক নকশা, ডটপ্রিন্ট, বলপ্রিন্টসহ নানা ধরনের সুপারহিরোর অবয়ব। ডেনিম শার্টেও নানা ধরনের ওয়াশ করে গরমে পরার উপযোগী করা হয়েছে। জিনসের প্যান্টে ওয়াশ হচ্ছে অনেক ধরনের। তবে গরমে গ্যাবার্ডিন প্যান্টের চাহিদা থাকে বেশি। মেনজ ক্লাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘গ্যাবার্ডিন প্যান্টে আরাম পাওয়া যায় বলে এই সময়ে তা ভালো বিক্রি হয়। তবে ইলাস্টিক ডেনিমের প্যান্টও আছে। এ ছাড়া জিনস তো আছেই।’
এবার নতুন দেখা যাচ্ছে জগার স্টাইলের থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট। হাঁটুর নিচ পর্যন্ত ঝুলের এই প্যান্টের শেষ অংশ পায়ের সঙ্গে লেগে থাকে।
শার্ট বা টি-শার্টে এখন যেসব রং বেশি জনপ্রিয় তার একটা তালিকা জানা গেল ডিজাইনারদের সঙ্গে কথা বলে। এর মধ্যে আছে হালকা নীল, সাদা, ঘিয়ে, বাদামি, সবুজাভ, হালকা কমলা, ফিরোজা, নীল, ছাইরং, হালকা গোলাপি ইত্যাদি। গরমে পরার জন্য এসব রঙের ওপরই আস্থা রাখতে পারেন।

পরিশেষ
কাজের প্রয়োজনে বা আয়োজন বুঝে প্রতিদিন পোশাক নির্বাচন করতে হয় আমাদের। তাই ফুলহাতা শার্ট, হাফহাতা শার্ট, পলো শার্ট বা টি-শার্ট সবটাই পরার চল আছে। প্যান্টের ক্ষেত্রেও একই কথা। জিনস, চিনোস (গ্যাবার্ডিন) বা পাতলা কাপড়ের খাটো প্যান্ট সবই দেখা যায়। দিনের অনেকটা সময়ই বাসায় বা বাসার কাছাকাছি দূরত্বে তরুণেরা খাটো প্যান্ট পরতে ভালোবাসেন। বন্ধুদের সঙ্গে ‘হ্যাং আউটের’ বেলায়ও খাটো প্যান্টের সঙ্গে অনেকে টি-শার্ট বা পলো শার্ট পরছেন। তবে সব পোশাকেই সুতি কাপড়ের প্রতি নির্ভরতা।
ছবি ও পোশাক : ইজি

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়