কাগজ প্রতিবেদক : স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোনো কোনো জেলা থেকে তথ্য গোপন করে যারা বিতর্কিতদের নাম কেন্দ্রে পাঠাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চরণ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বর্তমানে যারা দলে বা নির্বাচনে বঞ্চিত হচ্ছেন, তাদের হারানোর কিছু নেই। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যতক্ষণ নেতৃত্বে আছেন ততক্ষণ কারো শ্রম ও ত্যাগ বৃথা যাবে না। ধৈর্য ধরুন। শেখ হাসিনা ত্যাগের মূল্যায়ন করবেন।
গতকাল শনিবার রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জিল্লুর হাকিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য সানজিদা খানম, আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজি, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামিম ও ইকবাল হোসেন, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী প্রমুখ।
প্রার্থী পরিবর্তনের অভিযোগের বিষয়টি সত্য নয়, জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, অভিযোগ করলেই যে সব সত্য, এমনটা মনে করার কিছু নেই। প্রায় ৪০টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার ভিত্তিতে ১৫টি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। চেয়ারম্যান নিজের পক্ষে রাখতে গিয়ে বিতর্কিতদের নাম কেন্দ্রে না পাঠাতে আবারো স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা হিন্দুদের মন্দিরে হামলা করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধের শত্রæ। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। দেশের উন্নয়ন যাদের সহ্য হয় না, তাদের গাত্রদাহ হওয়াই স্বাভাবিক। সরকার এসব তাণ্ডবে জড়িত- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চান। সরকার দেশে স্থিতিশীলতা চায়। সরকার কোনো দুঃখে এসব করতে যাবে। ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে একটি মহল ধর্মের মূল চেতনাবিরোধী তৎপরতার মাধ্যমে বারবার সহিংসতার সুযোগ খুঁজছে। তাদের আর ছাড় দেয়া হবে না।