ধর্ষণের মামলা থেকে রক্ষা পেতে ছাত্রলীগ নেতার বিয়ে

আগের সংবাদ

বিশ্ব খাদ্য দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী : খাদ্যের অপচয় কমাতে হবে

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামে বাসা থেকে মা ও ২ সন্তানের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৬, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন মুরাদপুরের মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে এক নারী ও তার দুই সন্তানের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন- সুমিতা খাতুন (৩১), তার মেয়ে জান্নাত মায়মুন (৭) ও আড়াই বছর বয়সি ছেলে শান বাবু। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুমিতা খাতুনের স্বামী সোহেল রানাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
পাঁচলাইশ সার্কেলের সহকারী পুলিশ কমিশনার শহীদুল ইসলাম বলেন, সকালে খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর এলাকার ইসমাইল কলোনির ওই বাসায় আসি। ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে দরজা ভেঙে ঢুকে দেখি ফ্যানের সঙ্গে মা ও ছেলের লাশ ঝুলছে। আর ঘরের খাটের ওপর মেয়ের লাশ পড়ে আছে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানান শহীদুল ইসলাম।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান বলেন, ৩১ বছর বয়সি মা সুমিতা খাতুন এবং তার আড়াই বছরের ছেলে শান বাবুর লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল। সাত বছর বয়সি মেয়ে জান্নাত মায়মুনের লাশ পাওয়া গেছে খাটে শোয়ানো অবস্থায়। সুমিতার স্বামী সোহেল রানা নগরীর মুরাদপুর এলাকায় ইউনানী ওষুধের ব্যবসা করেন। তাদের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। চট্টগ্রামে তারা ইসমাইল কলোনির এসএস টাওয়ার নামের একটি ভবনের চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ পরিদর্শক সাদিতুর রহমান বলেন, জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঘরের প্রধান দরজা এবং শোবার ঘরের দরজা ভেতর থেকে ছিটকিনি আটকে বন্ধ করা ছিল। সকালে দরজা ভেঙে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। নগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মোখলেসুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, দুই সন্তানকে হত্যা করে মা আত্মহত্যা করেছেন। খাটের ওপর শোয়ানো মেয়ের গলায় কাপড় প্যাঁচানো ছিল। ছেলে আর মায়ের লাশও গলায় রশি ও কাপড় প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলছিল। তবে কেন কীভাবে এ ঘটনা ঘটল, পুলিশ তা ‘খতিয়ে দেখছে’ বলে জানান উপকমিশনার মোখলেসুর।
বাসার নিরাপত্তাকর্মী মো. ফোরকান সাংবাদিকদের জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সোহেল রানা বাসায় ফিরে

ডাকাডাকি করে না পেয়ে ফিরে যান। রাত ১২টার দিকে তিনি আবার এসে ডাকাডাকি করেন, কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে রাত ৩টার দিকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশ ডাকেন। সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানাও প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলে সাংবাদিকদের জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়