সারাদেশে পূজামণ্ডপে হামলা : চাঁদপুরে সংঘর্ষে নিহত ৩

আগের সংবাদ

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের টার্গেট কী? প্রথম ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ-সাকিবের মাঠে নামা নিয়ে দোটানা

পরের সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী : পাকিস্তানি দোসররা ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করছে

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনীদের আমরা এদেশ থেকে বিতাড়িত করি। দেশ পরিপূর্ণ স্বাধীন হয়। কিন্তু পাকিস্তানের দোসর আলবদর, আলশামস তারা কি বাংলাদেশ ছেড়ে গিয়েছিল। তারা এখনো এদেশে রয়ে গেছে, পঞ্চগড়েও রয়ে গেছে। তারাই আজকে কারণে অকারণে ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টি করে বলে ভাস্কর্য ভাঙো। এখন আবার তারাই কুমিল্লায় মন্দিরে কুরআন শরীফ রাখার কাজটি করেছে। কোন পাগলে বলবে কুরআন শরীফ নিয়ে হিন্দুরা তাদের পূজা করে। তাদের সঙ্গে আমাদের আল কুরআনের কি সম্পর্ক। তারা তাদের ধর্ম পালন করবে। গোপনে তারা সেখানে কুরআন শরীফ নিয়ে রেখে এসেছে, ধরাও পড়ে গেছে। পরে চারদিকে ফোন করে বলে দিল কুরআনের অবমাননা চলছে এই মন্দিরে। একটা ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য এই পাঁয়তারা করছে তারা।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা প্রশাসন আয়োজিত পঞ্চগড় সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গুবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিলেন। সেখানে তিনি সুকৌশলে স্বাধীনতার কথা বললেন। তার কারণে বিশ্ব জনমত আমাদের পক্ষে ছিল। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত আমাদের এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে, ট্রেনিং দিয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে। আমরা সেই অস্ত্র নিয়ে, ট্রেনিং নিয়ে পাকিস্তানিদের নাস্তানাবুদ করেছি। ১৬ ডিসেম্বর তারা আত্মসর্মপণ করতে বাধ্য হয়। দেশ পরিপূর্ণ স্বাধীন হয়।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ মজাহারুল হক প্রধান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র জাকিয়া খাতুন, পঞ্চগড়ের সাবেক ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সায়খুল ইসলাম, জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত বীর মুক্তিযোদ্ধা, জেলা আওয়ামী লীগের নেতারাসহ গণমাধ্যম কর্মীরা।
এর আগে মন্ত্রী পঞ্চগড় সদর উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স ভবনে পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপরে তিনি তিন তলা বিশিষ্ট নবনির্মিত সদর উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স ভবনে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন। পরে জাতির পিতাসহ তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাসহ সব মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়