নলডাঙ্গা : আ.লীগ-বিএনপি নেতাসহ আটক ১১ জুয়াড়ি

আগের সংবাদ

উন্নয়নের ভোগান্তি আর কত : কোনো প্রকল্পই শেষ হয় না নির্ধারিত সময়ে, বছরজুড়েই চলে সেবা সংস্থাগুলোর খোঁড়াখুঁড়ি

পরের সংবাদ

নির্ধারিত দর উপেক্ষিত : চট্টগ্রামে সব পণ্যের দাম চড়া, স্বস্তিতে নেই ভোক্তারা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : বাজারে প্রায় সব ভোগ্যপণ্যের দাম চড়া। প্রতি সপ্তাহেই দাম বাড়ছে। লাগামহীন চিনি ও তেলের দাম। তেল ও চিনির দাম ভোক্তার নাগালের ভেতর আনতে মাসখানেক আগে দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই। এদিকে বেশ কিছু সবজি ও মুরগির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। সব মিলিয়ে খুচরা বাজারে পণ্যের দাম নিয়ে অস্বস্তিতে আছেন সাধারণ ভোক্তারা।
বাজারে চিনি কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নগরীর বিভিন্ন খুচরা দোকান ঘুরে দেখা য়ায়, প্রতি কেজি খোলা সাদা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, লাল চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। প্যাকেটজাত সাদা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা। গত ৯ সেপ্টেম্বর চিনির মূল্য বেঁধে দেয় সরকার।
সরকার নির্ধারিত দাম প্রতি কেজি খোলা চিনি ৭৪ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ৭৫ টাকা। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, এই দামে চিনি বিক্রি করা সম্ভব নয়। পাইকারি দোকান থেকে আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়। অন্যদিকে গত ৫ সেপ্টেম্বর সরকার সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করে দেয় প্রতি লিটার ১২৯ টাকা। কিন্তু খোলা বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, পামওয়েল ১৩৫ টাকা ও প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেল ও চিনির দর বাড়তির দিকে। আমদানিকারকরাও বাড়তি দরেই বিক্রি করছেন। তাই খুচরা বাজারে সরকার নির্ধারিত দর বাস্তবায়ন করা মুশকিল হয়ে পড়ছে। সামনে এ দুই পণ্যের দাম আরো বাড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
গতকাল শুক্রবার নগরীর খুচরা বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচাবাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিম, কাঁচামরিচ, আলু, পটোল, শসাসহ বেশির ভাগ সবজির দাম বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেশির ভাগ সবজির দাম বেড়েছে। এর মধ্যে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা কেজিতে, যা এর আগের সপ্তাহেও ছিল ৯০-১০০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া ঝিঙা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। শীতকালীন আগাম সবজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা। গাজর ও টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়। একইভাবে ৫৫ টাকার করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকায়, ৪০ টাকার পটোল ৫০-৬০ টাকা কেজিতে, ৩৫-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া ঢেঁড়সের দাম দ্বিগুণ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। বরবটি পাওয়া যাচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়।
ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০-১৫ টাকা। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৬০-১৭০ টাকা। আগের সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকায়। ব্রয়লারের মুরগির চেয়ে বেশি বেড়েছে সোনালি মুরগির দাম। গত সপ্তাহে ২৯০ টাকায় বিক্রি হওয়া সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩১০ টাকা দরে। খুচরা বাজারে এক জোড়া ডিম বিক্রি হচ্ছে ২০-২২ টাকায়। আর ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
কাজীর দেউড়ি বাজারে ব্যবসায়ী জমির উদ্দীন বলেন, লকডাউন খুলে দেয়ার পর থেকে মুরগির দাম বাড়তি। মাসখানেক আগেও মুরগি ১২০ টাকা এখন ১৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। তিনি বলেন, এখন অফিস-আদালত, কলকারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। সেই কারণে মুরগির চাহিদাও বেড়েছে।
চাহিদা বাড়ায় দাম বাড়ছে। লকডাউন উঠে যাওয়ার পর থেকে হোটেল-রেস্তোরাঁয় মুরগির চাহিদা বেড়েছে।
সেই তুলনায় মুরগি বাজারে নেই। তাই দাম বাড়ছে। মুরগি বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আগে যারা খামার করত করোনার কারণে তারা খামারে মুরগি তোলেনি। করোনার ভয়ে অনেকে মুরগি উৎপাদন করেনি।
বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা কেজিতে। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকায়। রসুনের দাম ৮০-১২০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজিতে।
প্রকারভেদে ৯০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা বড় দানার রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকায়। প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। বিদেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়