আছাদুজ্জামান : টেকসই পরিবেশবান্ধব ও জলবায়ু সহিষ্ণু গ্রামীণ সংযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ গ্রামীণ জনজীবনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এলজিইডির আরসিআইপি প্রকল্প কাজ করছে।
২০১৮ সালে একনেকে প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আর্থিক সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৪৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলার, যার মধ্যে এডিবির আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ৩০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার। দেশের ৫টি বিভাগের ৩৪টি জেলায় ওই প্রকল্প চলমান রয়েছে।
চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৫০ শতাংশ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে ইতোমধে ৩.৩১ মিলিয়ন কর্মসংস্থান (জনদিবস) সৃষ্টি হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৬৩০ কিলোমিটার রাস্তা মেরামত ও উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ইতোমধ্যে ৩৭০ কিলোমিটার রাস্তা মেরামত ও উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য, এ প্রকল্পের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে ‘গ্রামীণ সড়ক মহাপরিকল্পনা’ (রুরাল রোড মাস্টার প্ল্যান) প্রস্তুত করা হবে। আগামী বছরের জুন নাগাদ প্রকল্পটি সমাপ্ত হবে।
প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ খান ভোরের কাগজকে বলেন, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান ও অবকাঠামোর উন্নয়ন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি গ্রামীণ টেকসই উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আরসিআইপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম ভোরের কাগজকে বলেন, টেকসই পরিবেশবান্ধব ও জলবায়ু সহিষ্ণু গ্রামীণ সংযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ গ্রামীণ জনজীবনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ চলছে। গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়ন এবং গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নে এ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।