অভিযুক্ত ইভ্যালির ১০ কর্মকর্তা : ডিজিটাল আইনে মামলার আবেদন খারিজ

আগের সংবাদ

উজানে খরা ভাটিতে দখল-দূষণ : বিশ্ব নদী দিবস আজ

পরের সংবাদ

দোকানপাট অপসারণ না করে সরু সড়ক নির্মাণ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোহাম্মদ সোহেল, নোয়াখালী থেকে : নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের উত্তর জগদনন্দ গ্রামে বিডিপি বাজার-কলোনি সড়ক ও বিডিপি বাজার-নলুয়া নুরীয়া সড়কের বিডিপি বাজার অভিমুখে সরকারি জায়গার দোকানঘর অপসারণ ছাড়াই চলছে সড়ক নির্মাণের কাজ। যার কারণে সড়কের প্রস্থ ১০ ফুটের জায়গায় সরু করে বাঁকা ৮ ফুট নির্মাণ হচ্ছে। একই সঙ্গে পাশের খাল থেকে অবৈধ উপায়ে বালু উত্তোলন করে ওই সড়কের বক্স পূরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা সরকারি জায়গা থেকে ওই দোকানঘর অপসারণ করে ১০ ফুট প্রস্থ সোজা সড়ক নির্মাণের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে কোনো প্রতিকার মেলেনি। স্থানীয় বাসিন্দা মাহফুজুর রহমান, মোহাম্মদ চৌধুরী ও মো. নুরুল করিম জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে কবিবহাট উপজেলার উত্তর জগদনন্দ গ্রামে এলজিইডির বাস্তবায়নে বিডিপি বাজারের মধ?্যবর্তী উভয় পাশে কলোনি সড়ক ও নুরিয়া মাদ্রাসা সড়কের নির্মাণ কাজ চলমান। উভয় সড়কের বিডিপি বাজারে রাস্তার সম্মুখে সরকারি জায়গায় শেয়ার আলী, রহমত আলী ও বেচু মাঝির দোকানঘর থাকায় তাদের দোকান রক্ষা করতে ১০ ফুট প্রস্থ সড়ক সরু ও বাঁকা করে ৮ ফুট নির্মাণ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সরকারি ডিজাইন মোতাবেক ও সড়কের সৌন্দর্য রক্ষার্থে সড়কের মুখে অবস্থানকৃত দোকানঘরগুলো অপসারণ করে সড়ক নির্মাণের দাবিতে কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেও কোনো প্রতিকার পাননি তারা। স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কাশেম, ইউসুফ মিয়া ও সাহাব উদ্দিন বলেন, শুধু সরু সড়ক নির্মাণ নয়, এই সড়ক নির্মাণে বক্স পূরণ করা হয়েছে পাশের খালের বালু উত্তোলন করে। ঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিপিডি বাজারে নির্মাণাধীন সড়কের মুখে শেয়ার আলী, রহমত আলী ও বেচু মাঝির দোকান থাকায় সড়ক সরু ও বাঁকা করে নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে বাজারের অংশের সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হতে পারে বলে মন্তব্য করছেন স্থানীয়রা। তবে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি সরকারি জায়গার ওপর নির্মাণ করা দোকানের মালিক শেয়ার আলী, রহমত আলী ও বেচু মাঝি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে কর্ণধার কামাল উদ্দিন জানান, আমরা ওয়ার্কশিট মোতাবেক সড়কের কাজ করছি। দোকান অপসারণে প্রশাসন সহযোগিতা করলে আমরা ডিজাইন অনুযায়ী কাজ করব। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় কয়েকজন বালু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আমি বালু ক্রয় করে নিয়েছি। সেটি অবৈধ কিবা বৈধ তা আমার জানার বিষয় নয়।
কবিরহাট উপজেলা প্রকৌশলী হরষিত কুমার সাহা বলেন, আমরা সড়কের ডিজাইন ও সৌন্দর্য রক্ষার্থে কাজ করতে প্রস্তুত কিন্তু দোকানঘরের মালিকদের প্রভাবে কাজ করতে বিঘœœ হচ্ছে। স্থানীয়রা সহযোগিতা করলে কাজ করতে আমাদের কোনো সুবিধা হবে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাছিনা আক্তার বলেন, সরকারি চলাচলের সড়কের ওপর দোকান অপসারণ করতে স্থানীয়দের আবেদন পেয়েছি। সরেজমিনে তদন্ত করে রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়