পথচারী ও মাদ্রাসার ছাত্রদের মধ্যে চসিক মেয়রের খাবার বিতরণ

আগের সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ : ঢাকার চারপাশে হবে এলিভেটেড ওয়ে

পরের সংবাদ

কবে মাঠে ফিরবেন তামিম

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ওমান ও আরব আমিরাতে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। তবে তরুণদের সুযোগ দিতে বিশ্বকাপে না খেলার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। গত ১ সেপ্টেম্বর নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এ কথা জানান তিনি। ক্রিকেট মাঠে ব্যাট হাতে তামিমের দাপট নতুন কিছু নয়। টাইগার এ ওপেনার ব্যাট হাতে মাঠে থাকলে প্রতিপক্ষের বোলারদের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। তাই বিশ্বকাপে তামিম খেলবে না তা জানার পর বেশ হতাশ ভক্তরা। তাছাড়া টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপের জন্য সহসাই কোন ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে না টাইগাররা। তাই কবে মাঠে ফিরবেন তামিম সে অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। তামিমের ডান পায়ের হাঁটুতে আগে থেকেই ব্যথা ছিল। গত ১৭ জুন ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ডিপিএলে ব্যাটিংয়ের সময় পুরনো সেই চোট জেগে উঠে। পরে আর খেলতে পারননি তিনি। এমনকি কিছুটা সুস্থ হয়ে জিম্বাবুয়েতে টেস্ট ও ওয়ানডে খেললেও টি-টোয়েন্টি ফরমেট খেলেননি। একই কারণে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও ছিলেন না বাংলাদেশ সেরা ওপেনার। লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকলেও নির্বাচকরা আশা করেছিলেন, বিশ্বকাপের আগেই ফিট হয়ে উঠবেন। কিন্তু ম্যাচ অনুশীলনের ঘাটতির সঙ্গে অন্যান্য কারণে সংক্ষিপ্ত ফরমেটের বিশ্বকাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তামিম। এ বিষয় তামিম বলেছেন, কিছুদিন ধরে আমি এই ফরমেটটা খেলছি না। আর দ্বিতীয়ত ইনজুরি। কিন্তু আমার মনে হয় না ইনজুরি বড় সমস্যা। আমি আশা করি বিশ্বকাপের আগেই ঠিক হয়ে যাবে। আমি সর্বশেষ ১৫-১৬টা টি-টোয়েন্টি খেলি নাই। এ সময়টাতে আমার জায়গায় যারা খেলছিল, আমার মনে হয় না এটা ভালো হবে তাদের প্রতি। যদি আমি হঠাৎ করে এসে তাদের জায়গাটা নিয়ে নিই। এ কারণেই বোর্ড প্রেসিডেন্ট আর নির্বাচকদের জানিয়েছি এবার বিশ্বকাপে খেলব না। তবে যাইহোক তামিমের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। ২০০৭ সালে ১ সেপ্টেম্বর কেনিয়ার বিপক্ষে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে তার অভিষেক হয়। এরপর ২০২০ সালে ৯মার্চ ঘরের মাঠে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। তবে ২০০৭ সাল থেকে ৬টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরে অংশ নেয়া তামিম এ সংস্করণের বিশ্ব আসরে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ৫১৪ রান করা তামিমের উপরে আছেন নম্বর ওয়ান অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৫৬৭ রান করে দেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্য প্রথমে থাকা সাকিব খেলেছেন ২৫টি ম্যাচ। অন্যদিকে তামিম খেলেছেন ২৩টি ম্যাচ। প্রায় ১১৪ স্ট্রাইক রেটে ও সাড়ে ২৪ তামিমের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রয়েছে একটি শতক ও একটি অর্ধশতক রানের ইনিংস। ক্যারিয়ারে দুটি প্রাপ্তিই ঘটেছে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ওই বছর ওমানের বিপক্ষে তার অপরাজিত ১০৩ রানের ইনিংসটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা পাঁচে অবস্থান করছে। এই ফরমেটে ১২৩ রান করে প্রথমে আছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২৯৫ রান নিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। এছাড়া তামিম ইকবাল টেস্ট আর ওয়ানডেতেও নিজেকে মিলে ধরেছেন। এই দুই ফরমেটেও তার ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। ২০০৭ সালে ৯ ফেব্রুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে তামিমের অভিষেক হয়। ওয়ানডেতে ২১৯ ম্যাচে ব্যাট হাতে ৫১টি হাফসেঞ্চুরি ও ১৪টি সেঞ্চুরির সুবাদে ৭৬৬৬ রান করেছেন। যা বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান। ২০০ সালে ৪ জানুয়ারি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয় তামিমের। তিনি সাদা পোশাকে ৬৪ ম্যাচে ৩১টি হাফসেঞ্চুরি, ৯টি সেঞ্চুরি ও ১টি ডাবলসেঞ্চুরিতে ৪৭৮৮ রান তুলেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়