প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
পরিচালক মিজানুর রহমান আরিয়ানের প্রথম ওয়েব ফিল্ম ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ গত ১৯ আগস্ট ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে রিলিজ পায়। রিলিজের পর থেকে অনেক সাড়া পাচ্ছেন। এর আগে ‘বড় ছেলে’ নাটকের জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই তরুণ নির্মাতা। নাটক এবং সিনেমা নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার : রেজা শাহীন
আপনার প্রথম ওয়েব ফিল্ম ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ রিলিজ হলো। কেমন সাড়া পেলেন?
খুব ভালো সাড়া পেয়েছি। ২০১৭ সালে ‘বড় ছেলে’ নাটকের জন্য এরকম সাড়া পেয়েছিলাম। আমি আর বেশিকিছু বলতে চাই না। আপনারা সবই জানেন। এটি আমার প্রথম সিনেমা। এ কারণে একটা অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে।
‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ সিনেমাটি আপনার পূর্বের সব কাজকে ছাড়িয়ে গেছে?
‘বড় ছেলে’, ‘ব্যাচ নাম্বার-২৭’ কিংবা ‘বুকের বাঁ পাশে’- এগুলো সবই টিভির জন্য বানানো। যেহেতু মাধ্যম আলাদা। দুইটা একসঙ্গে মিলানো ঠিক হবে না। সিনেমার সঙ্গে সিনেমার তুলনা হতে পারে।
অনেকেই বলছেন এই সিনেমার গল্পটি সত্য ঘটনা থেকে বানানো। আসলেই কি তাই?
আমরা বেশ কিছু সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত। সমুদ্রে প্রতিনিয়ত নানা ঘটনা ঘটে থাকে। সমুদ্রে ঘটে যাওয়া অনেক দুর্ঘটনা সম্পর্কে আমরা জানি। সেগুলো থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছি। তবে সিনেমার প্রতিটি চরিত্র, তাদের ভালোবাসার গল্প, তাদের পরিবারের গল্প, সবকিছু আমরা আমাদের নিজেদের মতো করে সাজিয়েছি।
দর্শক এটি সিনেমা হলে দেখতে চাচ্ছেন। এই বিষয়ে আপনার কোনো পরিকল্পনা আছে?
আমি মূলত এই সিনেমার গল্পটি লিখেছি বড় পর্দার জন্যই। পরিস্থিতির কারণে সেটি সিনেমা হলে রিলিজ দেয়া সম্ভব হয়নি।
ওটিতে রিলিজ হওয়ার পর দর্শকদের আগ্রহ দেখে আমার কনফিডেন্স অনেক বেড়ে গেছে। আমার পরবর্তী সিনেমার ক্ষেত্রে দর্শকদের এই চাওয়া আমাকে অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমি চাইবো আমার সিনেমা যেনো হলভর্তি দর্শক দেখে, আনন্দ নিয়ে দেখে। কিন্তু এখন করোনা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা। এরকম সময়ে মানুষ সিনেমা হলে গেলেও ভয়ে ভয়ে যাবে। তাছাড়া মানুষ খারাপ সময় কাটিয়ে ঠিক সময়ে এখনো পুরোপুরি ফেরেনি। এখনও সিনেমা হলে ছবিটি মুক্তি নিয়ে ভাবছি না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে হয়তো বড় পর্দায় দেখতে পারবে দর্শক।
আটজন তরুণ ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ অভিনয় করেছে। এদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
কাজের অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। কাজের প্রতি এদের ভালোবাসা আছে। এদের সঙ্গে কাজ করে আমি খুব খুশি। আমি খুব আশাবাদী এরা ভালো করবে। ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ কাজ করতে গিয়ে ওরা যে পরিমাণ পরিশ্রম করেছে, কাজের প্রতি যেরকম সৎ ছিল সেরকম চেষ্টা যদি থাকে তাহলে ওরা সামনে অনেক ভালো করবে। ওদের সবার জন্য শুভ কামনা।
নিয়মিত সিনেমা নির্মাণ করলে নাটক বানানো কি ছেড়ে দেবেন?
ছোটপর্দা আমাকে বড় করেছে। সুতরাং ছোট পর্দা আমি কখনো ছেড়ে যাবো না। ছোট পর্দায় আমি সবসময় থাকবো। সেটি কমবেশি হতে পারে। ছোট পর্দার প্রতি আমার একটা ভালোবাসা আছে।
বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?
আমার হাতে থাকা সিনেমাগুলো নিয়ে ব্যস্ত সময় যাচ্ছে। বেশ কিছু টিভি কন্টেন্ট করবো সেগুলো নিয়ে পরিকল্পনা চলছে। আমি বছরে দুটো সিনেমা বানাবো।
আপনার পছন্দের কোনো পরিচালক আছে কি?
ওরকম নির্দিষ্ট কেউ নেই। আসলে ওরকম কারো সঙ্গে আমার তেমন মেশার সুযোগ হয়নি। তবে আমাদের দেশের অনেক পরিচালক আছেন যাদেরকে আমি পছন্দ করি এবং তাদের কাজ পছন্দ করি।
অবসর সময় কীভাবে কাটে?
যে বয়সটাতে মানুষ ঘুরে সে বয়সটাতে আমি কাজ শুরু করেছি। তখন ঘোরার সময় পাইনি। এখন আমি লম্বা সময় অবসর পেলে ট্যুর দেয়ার চেষ্টা করি। তাছাড়া
একটু আধটু সময় পেলে বই পড়ি, সিনেমা দেখি, সাইকেলিং করি।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।