ই-অরেঞ্জের সাবেক সিওও রাসেল রিমান্ডে

আগের সংবাদ

যাত্রীসেবার মান তলানিতে : সড়ক আইন প্রয়োগে উদাসীনতা > নির্দেশনা দিয়েই দায়িত্ব শেষ কর্তৃপক্ষের

পরের সংবাদ

সিলেটের আম্বরখানা-টিলাগড় সড়ক : সওজ-সিসিক ঠেলাঠেলিতে বাড়ছে জনদুর্ভোগ

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জাহিদুল ইসলাম, সিলেট ব্যুরো : সিলেট নগরীর আম্বরখানা থেকে টিলাগড় পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়ক রয়েছে সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগের। যার মধ্যে শাহি ঈদগাহ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটারের অবস্থা বেহাল। তবে কে সংস্কার করবে- তা সিদ্ধান্ত না হওয়ায় গত দুবছরেও হয়নি কোনো সংস্কার কাজ।
দুই বছর আগে এই সড়কে ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল সিলেট সিটি করপোরেশন। যা শেষ হয়েছে প্রায় ছয় মাস আগে। এর ভেতরে মূল সড়কটি ভেঙেচুরে শেষ। তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। জল আর কাদায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ভাঙা সড়কের কারণে সড়কের দুপাশের ৩টি ওয়ার্ডের জনসাধারণকে পড়তে হয়েছে চরম দুর্ভোগে। রিকশা-সিএনজিতে গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া, প্রায়ই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।
তবে সিলেট সিটি করপোরেশন বলছে, সড়কটির বর্ধিত অংশ সংস্কার তাদের দায়িত্ব হলেও মূল সড়কের কাজ সওজের। আর সওজ বলছে, পুরো সড়ক সংস্কার করবে সিসিক। এ অবস্থায় উপায় না দেখে সড়ক সংস্কারের দাবিতে গত শুক্রবার বাদ জুমা সুরমা বয়েজ ক্লাব ও ক্লিন সিটির উদ্যোগে ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই মসজিদের সামনে এক মানববন্ধনে সড়কটি সংস্কার করে দুর্ভোগ লাঘবের আকুতি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন, বারবার সড়ক ও জনপথ এবং সিসিকের কাছে ধরনা দিয়েও কোনো প্রতিকার মিলছে না। যার কারণে এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
এদিকে, আম্বরখানা বড়বাজার থেকে শাহি ঈদগাহ পর্যন্ত সরজমিন দেখা গেছে, সড়কের উভয় পাশে ড্রেন নির্মাণ শেষ হলেও সড়কের বর্ধিত অংশে এখনো কাজ হয়নি। তবে মূল সড়কের ভাঙা অংশে ইটের সুরকি ফেলে চলাচলের জন্য কিছুটা উপযোগী করার চেষ্টা করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
এ ব্যাপারে সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, ড্রেন নির্মাণ করে উভয় পাশে সড়ক বড় হয়েছে। এতে বর্ধিত অংশ আমাদের সংস্কার করার কথা। করোনার কারণে সম্ভব হয়নি। তাছাড়া এখন বৃষ্টি। এমনকি পানির লাইনে কিছু কাজ বাকি। তবে বর্ধিত অংশে আমরা কাজ করব এবং ইতোমধ্যে আমাদের টেন্ডার হয়ে গেছে। আর মূল সড়কে কাজ করবে সড়ক ও জনপথ।
অন্যদিকে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা ইটের সুরকি দিয়ে নিয়মিত কিছু কাজ অব্যাহত রেখেছি। কিন্তু সিসিক আমাদের জানিয়েছে মূল সড়কটি তারা সংস্কার করবে। এমনকি তিনি আমাকে জানিয়েছেন ইতোমধ্যে টেন্ডার হয়ে গেছে। পানির লাইনের কিছু কাজ বাকি, এগুলো শেষ হলেই সড়কের কাজ শুরু হবে।
তবে এলাকাবাসীর দাবি সিসিক বা সওজ যেই হোক সড়কটি যেন দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়