ই-অরেঞ্জের সাবেক সিওও রাসেল রিমান্ডে

আগের সংবাদ

যাত্রীসেবার মান তলানিতে : সড়ক আইন প্রয়োগে উদাসীনতা > নির্দেশনা দিয়েই দায়িত্ব শেষ কর্তৃপক্ষের

পরের সংবাদ

শিথিল হচ্ছে লকডাউন : নিউজিল্যান্ডে ফাইজার টিকা নিয়ে নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ফাইজার-বায়োএনটেকের কোভিড-১৯ টিকা নেয়ার পর এক নারীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। দেশটিতে এটিই এ ধরনের প্রথম মৃত্যু বলে ধারণা করা হচ্ছে। নারীটির মৃত্যুর আসল কারণ কি, তা এখনো জানা যায়নি। তবে স্বতন্ত্র একটি ভ্যাকসিন নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণকারী বোর্ডেও ধারণা, নারীটির মৃত্যু ‘সম্ভবত’ মায়োকার্ডিটিস বা হৃৎপিণ্ডের পেশিতে প্রদাহের কারণে হয়েছে। ফাইজারের কোভিড টিকায় বিরল ক্ষেত্রে এ ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
মারা যাওয়া নারীর বয়স কত, তা জানানো হয়নি বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি। নারীর আরো কিছু শারীরিক জটিলতা ছিল, ‘যা হয়তো টিকা নেয়ার পরবর্তী পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করেছিল’, বলে জানায় ভ্যাকসিন নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণকারী বোর্ড। এক বিবৃতিতে বলা হয়, নিউজিল্যান্ডে টিকা নেয়ার কয়েকদিন পর মৃত্যুর প্রথম ঘটনা এটি। এর সঙ্গে ফাইজারের কোভিড-১৯ টিকার যোগ দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি টিকা নেয়া আরো কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছে সেন্টার ফর অ্যাডভার্স রিঅ্যাকশনস মনিটরিং। কিন্তু ওই মৃত্যুগুলোর কোনোটির সঙ্গেই টিকার যোগ আছে বলে মনে হচ্ছে না।
নারীটির মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং ময়না তদন্তকারী করোনার এ বিষয়ে চূড়ান্ত মতো দেবেন। কর্মকর্তারা এর বাইরে আর কিছু জানাতে রাজি হননি। ইউরোপের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ফাইজার ও মডার্নার টিকায় বিরল ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মায়োকার্ডিটিসের দেখা মেলে। বেশির ভাগ সময় তুলনামূলক অল্প বয়সিদের দেহেই এ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। বিরল ক্ষেত্রে এ ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলেও কোভিড টিকার উপকার এর ঝুঁঁকির তুলনায় অনেক অনেক বেশি, এমনটা বলেন তারা। গতকাল সোমবার নিউজিল্যান্ডের কর্মকর্তারা বলেন, নারীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরও ফাইজারের টিকার ওপর আস্থা রাখছেন তারা।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের টালি অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৬৫ কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ২৬ জন। সংক্রমণ মোকাবিলায় প্রথম দিকে নিউজিল্যান্ডের সরকারের নেয়া ভূমিকা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হলেও টিকাদান কর্মসূচির শ্লথগতি ওই অগ্রগতিকে ¤øান করে দিতে পারে। দেশটির নাগরিকদের মধ্যে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন টিকার ৩০ লাখ ডোজ প্রয়োগ হয়েছে। মোট জনসংখ্যার ২৩ শতাংশ টিকার সব ডোজই পেয়েছেন। অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনের দাপটে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখে কর্তৃপক্ষ দেশটির ব্যাপক অংশে লকডাউন জারি করেন। আজ মঙ্গলবার অকল্যান্ড বাদে বাকি শহর ও অঞ্চলগুলোর বিধিনিষেধ শিথিল করার কথা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়