ই-অরেঞ্জের সাবেক সিওও রাসেল রিমান্ডে

আগের সংবাদ

যাত্রীসেবার মান তলানিতে : সড়ক আইন প্রয়োগে উদাসীনতা > নির্দেশনা দিয়েই দায়িত্ব শেষ কর্তৃপক্ষের

পরের সংবাদ

বাবাদের ভূমিকায় জোর বিশেষজ্ঞদের : করোনাকালে চ্যালেঞ্জ বেড়েছে মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষায়

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এমনিতেই বেশ নাজুক। কোভিড-১৯ মহামারি এই সংকটকে আরো গভীর করে তুলেছে। সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে গর্ভধারণকারী মায়েদের। এখনো পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো গবেষণা না হলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সময়ে মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যু বেড়েছে।
মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর ক্ষেত্রে অল্প বয়সে গর্ভধারণ, অপুষ্টি এবং সেবা কেন্দ্র থেকে সেবা না নেয়াকেই দায়ী মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর এই অবস্থা উত্তোরণে ভবিষ্যৎ বাবাকেই ভূমিকা পালন করতে হবে।
‘করোনাকালে মাতৃস্বাস্থ্য এবং বাবার দায়িত্ব’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা এই মত প্রকাশ করেন। ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২১’ উপলক্ষে গতকাল সোমবার ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল) এবং বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএইচআরএফ) যৌথভাবে এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে।
বক্তাদের আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছে বাংলাদেশে মাতৃস্বাস্থ্যের বিভিন্ন ঝুঁকি, মাতৃত্বকালীন সন্তানের বাবা ও পরিবারের দায়িত্ব, মাতৃদুগ্ধের গুরুত্ব এবং করোনাকালে প্রসূতিসেবার সংকটগুলো।
বিএইচআরএফের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ রাব্বির সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. শফি আহমেদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজাউল করিম কাজল। মাতৃস্বাস্থ্য বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মুরাদ আহমেদ। এছাড়াও ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেডের (ইউসিএল) করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পার্টনারশিপস এন্ড কমিউনিকেশনের প্রধান শামীমা আক্তার, বিএইচআরএফের সভাপতি তৌফিক মারুফ বক্তব্য রাখেন।
ডা. মুরাদ আহমেদ বলেন, অল্প বয়সে বিয়ে মাতৃমৃত্যুর হার বাড়িয়ে দেয়। ১৯ বছরের আগেই ৫৯ শতাংশ মেয়ে গর্ভধারণ করে। এক-তৃতীয়াংশ নারী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। প্রতি ৫ জনে ৩ জন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করলেও তাদের মধ্যে মাত্র ১ জন এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে। ২৪ শতাংশ নারী একলামশিয়ায় মৃত্যু হয়। দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে মাতৃস্বাস্থ্য সমস্যার প্রতি আলোকপাত করে অধ্যাপক ডা. শফি আহমেদ বলেন, করোনা ও লকডাউনের কারণে নিম্নআয়ের পরিবারগুলোতে মাতৃস্বাস্থ্য সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। বাবারা কর্মহীন হওয়ায় তারা সন্তানের মায়ের যথাযথ যতœ নিতে পারছেন না। মাতৃস্বাস্থ্যের গুরুত্বের বিষয়টি এই সময়ে আরো বেশি করে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। মা ও শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও বাবাকে ভাবতে হবে।
ডা. রেজাউল করিম কাজল বলেন, আমাদের দেশে প্রথমবার গর্ভধারণ করা অধিকাংশ মা-ই কিশোরী। মা হতে গিয়ে তাদের যে মৃত্যুঝুঁকিতে পড়তে হয় তা পরিবারের অন্য সদস্যরা ভাবেন না। প্রসবের সঠিক সময়ে হাসপাতালে না নিয়ে যাওয়ার ফলে দেশে মাতৃমৃত্যুর ৫৪ শতাংশ ঘটে বাড়িতে। করোনাকালে মায়েদের সেবাকেন্দ্রে যাওয়ার প্রতিবন্ধকতা আরো বেড়েছে। বাবার সহযোগিতা ছাড়া সন্তান ও পরিবারের এই সংকট কাটিয়ে ওঠা কঠিন। মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যের জন্য আমাদের এখন এক সামাজিকযুদ্ধে নামতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়