কাগজ প্রতিবেদক : প্রেমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে প্রেমিকা ও তার বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সকালে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় নাটোর থেকে প্রেমিকা প্রিয়াঙ্কা গোমেজ ও তার বাবা জীবন গোমেজকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান ভোরের কাগজকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। এর আগে গত রবিবার রাতে রাজধানীর ভাটারায় প্রেমিকার বাসা থেকে প্রেমিক রিগান রোজারিওর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময়ই নিহতের পরিবার জানায় রিগানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট রিগান। গুলশান ডিএনসিসি মার্কেটের একটি মুদি দোকানে কাজ করত সে।
পুলিশ জানায়, রিগান গত শুক্রবার নর্দার বাসা থেকে কাজে বের হওয়ার পর রাত ৯টার দিকে পরিবারকে ফোনে জানায় একটি বাসায় দাওয়াত খেতে যাবে সে। এরপর থেকেই পরিবারের সঙ্গে আর কথা হয়নি তার। পরদিন শনিবার বিকালে রিগানের ফোন থেকে কল দিয়ে জানানো হয় তাকে একটি বাসায় আটকে রাখা হয়েছে। খবর শুনে পরিবার তার ফোনে যোগাযোগ করলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পুলিশকে জানালে পুলিশ গত রবিবার রাতে ভাটারার বটগাছিয়া এলাকার একটি বাসার টয়লেট থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। এরপর ভাটারা থানায় মামলা করে পরিবার। রিগানের পরিবার জানায় ওই বাসায় জীবন গোমেজ ও তার মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গোমেজ থাকত। তারাই তাকে হত্যা করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে গুলশান বিভাগের ডিসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে রিগানের পূর্ব পরিচয় ছিল।
ওই বাসায় দুজনকে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে তার বাবা জীবন গোমেজ দেখে ফেলে। পরে রিগানকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। এতেই তার মৃত্যু হয়। পরে দুজন রিগানের লাশ রেখে পালিয়ে যায়। লাশ উদ্ধারের পর মামলা হলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নাটোর থেকে বাবা ও মেয়েকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তবে ঘটনাটি আরো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।