ই-অরেঞ্জের সাবেক সিওও রাসেল রিমান্ডে

আগের সংবাদ

যাত্রীসেবার মান তলানিতে : সড়ক আইন প্রয়োগে উদাসীনতা > নির্দেশনা দিয়েই দায়িত্ব শেষ কর্তৃপক্ষের

পরের সংবাদ

চন্দনাইশে আ.লীগের দুপক্ষের গোলাগুলি, ককটেল বিস্ফোরণ

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ৩১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামের চন্দনাইশে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগের দুপক্ষের বিরোধের জের ধরে গোলাগুলির এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এতে চন্দনাইশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের জুনুসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে প্রায় একঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বাগিচারহাট এলাকায় মহাসড়কের পাশে মক্কা পেট্রল পাম্পের পাশে জাতীয় শোক দিবস ও একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে সন্ধ্যায় আলোচনা সভা, রাতে মেজবানের আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের জুনু। প্রধান অতিথি আগে বক্তব্য দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। সভার একপর্যায়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এরপর সভামঞ্চ লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে একদল তরুণ-যুবক। মারামারি থেকে সংঘর্ষের একপর্যায়ে গোলাগুলি শুরু হয়। এতে স্থানীয় নেতারা আর বক্তব্য দিতে না পেরে সভাস্থল ত্যাগ করে পাশে একটি কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে ওই কমিউনিটি সেন্টারে ও সড়কে অসংখ্য গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর সভা আহ্বানকারীরা মহাসড়কে এসে অবরোধ করেন। এতে প্রায় এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে এবং মহাসড়কে যানজট তৈরি হয়। স্থানীয়রা বলছেন, স্থানীয় কাউন্সিলর তৈয়ব আলীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অনুষ্ঠানস্থলে হামলা চালায়। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জসিম, চন্দনাইশ পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর লোকমান হোসেন এবং নুরুল আমিন, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা হেলাল ও রিপন গুরুতর আহত হয়েছেন।
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বলেন, ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এরপর মহাসড়কে ব্যারিকেড দেয়া হয়। আমরা দ্রুত গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত আধাঘণ্টা যানবাহন চলাচলে সমস্যা হয়েছে। এরপর আমরা সবকিছু স্বাভাবিক করেছি। সংঘাতে জড়িতদের শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়